ওরে যুবক !
জানি- আঠারো এলে  কেমন হয় ? তোর মতোই
আমার বুকে ছিলো উন্মাদনা অস্থির; দিন যেত
বয়ে, ভ্রমে-ভ্রমে  খামখেয়ালি স্বপ্নের ঘোরে  ।
ইচ্ছে হতো প্রবল-
বন্ধনহীন পুরুষের আঙুল এ আঠারোর শরীর ছূঁয়ে যাক;আর আমি
আড়মোড়া ভেঙে কচি-পাতার মতো উত্তীর্ণ হবো তার বুকের প’রে ।
জানি তুইও চাস-
নারীর নরম শরীর আর ঢের গাঢ় চুম্বন-স্পর্শ । এও জানি , এখন-
তোর বাসনা যুবতী-নারীর ঊর্ধ্বমুখি স্তনের মতো । বলতে পারবি-
                                   আমি মিথ্যে বলছি
                                         বাড়িয়ে বলছি                                              
                                               এক বিন্দু ।


উদাস হয়ে ,
দাঁতে নখ কেটে-
যখন দেখিস জানালার বাইরে মেঘলা দুপুর ;আর ফাঁকে-ফাঁকে
চাস্ আমার ভেজা শরীর পানে ছাদের প’রে ;চোখাচখি হলেই-
তুই চমকে যাস শিশুর মতো । ঠিক তখনই বুঝতে পারি ,
                                      হাজার ইচ্ছে আঠারো
                                           আমার সেই আঠারো
                                                    তোর দেহ জুড়ে ।


ইচ্ছে করে,
ধমক দিয়ে শাসাই তোকে , খুব কোরে বলি –“বজ্জাত”!
ইচ্ছে করে- আমার বুকেই তোর আঠারো চেপে ধরি ;খুব কোরে বলি-
                                                তোর মতো এক
                                                     আঠারো ছিলো
                                                          ইচ্ছে- হাজার ।