গন্ধ গলির ঘরে ,
পার্থক্য বিহীন প্রচুর দিন-রাত
কেটেছে নষ্ট-নষ্টার আড়ালে ঘোর যন্ত্রণায় ।


ইতর ভালোবাসার লোকেরা -
আতর মেখে , চেটে নিতো শরীরের নুন যেখানে যেখানে তাদের জিভ যেতো ;আর
সফেদ জীবানু ঢেলে দিতো ভালোবেসে । আর এমন ভিনদেশে-
প্রতি মুহুর্তে মৃত্যুর উপমা বিস্তর গন্ধ ছড়ায়; ক্ষুদ্র ক্ষুধার বেশে ।


নষ্টা  ভাগ্যঝড়ে-
নুয়েছিলো আমাকে ঘাসের মতো, মাটির প’রে
এমন ভাগ্য ছিলো না ! -যে পেয়ে যাবো ;
প্রতিদিনের সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তে-
তোমার আদুরে নৈকট্য, ইন্দ্রধনু প্রেম ।


কস্মিনকালে ভাবিনি
সত্য প্রেম আর মৃত্যুর বিভেদ দু’চোখ দেখে যাবে ; যেমন
অন্ধকারে বীজের খোলস ফাটিয়ে ভ্রুণ দীপ্ত সূর্যকে দেখে ।তবে
ধন্যবাদ কাকে দিই ? –বলো নষ্ট প্রভু আমার  ।


হে প্রিয়তম ! মাধব কাঞ্চন !
ঘৃনা,গ্লানিভার আর নষ্ট শরীর ছাড়া; দেবার তো কিছু ছিলো না
কোন্ উৎসবের কৌতুহলে ? আমায় আশ্রয় দিলে তোমার আকাশে ।
এমন ভাগ্য ছিলো না  -যে পুরুষ তোমাকে ;
অশ্রু-সিক্ত চোখে দেবতার আসনে বসিয়ে যাবো ।


বলো নষ্ট প্রভু আমার !
এমন ভাগ্য কি লিখেছিলে আমার কপালে ?
নষ্টা-ভার মুছে,
উন্মুক্ত উদার আকাশের নীচে
প্রাকৃত রাত্রির নীলে, হেমন্তের শিশির মেখে, রূপোলি জোৎস্নায়
ঘনিষ্ঠ প্রহর কাটাবো প্রিয়র বুকে ।
                                    
তবে তুমিই বলো- ধন্যবাদ কাকে দিই ?