সূর্যাস্তের ম্লান আকাশে ,
ঘরে-বাইরে দিকে দিকে সাঁঝ নেমে এলে –
বধু ! সেঁজুতি জ্বেলে কার প্রতীক্ষা করো ?
কৃষাণ ঘরে ফেরেনি বুঝি !


যখন
আশ্বিনের উত্তুরে হাওয়ায়
মাটির শরীরের সুঘ্রান; শান্ত বুকে হুলুস্থুল তোলে ।
ইচ্ছে করে সীমানা ভেঙে
দু’হাতে মুঠো মুঠো ধান ছড়ায় তোমার বুকে ।আর তুমি যদি-
মুখ লুকিয়ে সহাসে আমায় “বুড়ো-কার্তিক” বলো ; জানি
আমার অন্বিষ্টের ইতিহাস মুছে যাবে নিমেষে ।তখন
গোপন কনক চূড়া ছূঁয়ে ক্লান্তি ঝরে গেলে; খুঁজে নেবো
লুকানো অমৃতের মন্থন-দ্বার ।


সত্যি বলছি
কৃষাণ যদি না আসে !
আভাস রেখো শরীর জুড়ে চোখে-চোখে,
ছেড়ে ইঁট-কাঠ-পাথরের জঞ্জাল
চলেই যাবো মাটির বুকে মাটির ঘরে ।
অন্বিষ্টহীন দিনরাত কাটাবো অবশেষ ! ষড় ঋতুর স্বাদে ;
এক আকাশের তলে তুমি আমি ,মানুষের ভিড়ে ।


দুষ্ট জনতা !
যদি পরকীয়া বলে-
জেনো  -তারা প্রেম করেনি কোনোদিন, কোনোকালেও না ।