অবশেষে আমার প্রত্যাবর্তন তাই


আকাশ-চন্দ্র-ধ্রুবতারা ছন্নছাড়া , নির্বাক ;
মৃত্তিকার আঁশে আঁশটে গন্ধ বিচ্ছেদের
বাতাসে ভাসমান প্রতিটি ধূলিবিন্দু বিষফোঁড়া
তাই পার্থিব মানুষের নিঃশ্বাস- শবদাহের চুল্লীর তাপ ছড়ায় ।ঝলসায়
জীবন আবর্তের প্রতিমুহূর্ত । যন্ত্রণার শাণিত নখর-
ছিঁড়ে-ছিঁড়ে নেয় বিস্রস্ত হৃদয় তন্ত্রীগুলোকে ।


দেখি যতদূর- রুচিহীন কঙ্কাল সমাজ বিকৃত লালসার
মৃত্যুবীজ হাতে পথে পথে দাঁড়িয়ে । জ্যোতির ঘরে
স্তরে-স্তরে জমেছে শৈবাল ; ঢেকেছে
ঈসা-মুসা-কৃষ্ণের ভাস্বর লীলা ।
এমন দুর্দিনে চোখ পুড়ে যায়-
কেঁপে-কেঁপে ওঠা সূর্যের উদয়-অস্ত দেখে ।


উৎসবেও দেখি
মেঘ-নদী-পাহাড়ের বুকজুড়ে মৌনতা বিশাল ।
নেই বর্ণ গন্ধ ফুলে; ইচ্ছে নেই পাখিদের
বাঁচার আর ডানা মেলে আকাশে ওড়ার ।


এমন হিম জমাট মৃত্যুভারে ক্লান্ত
নিখিল চরাচরে , বাঁচার সাধ কে রাখে বলো ? অন্তত মানুষ না ।


হে সাধের পুরুষ ! আমার ;
সকল নারীর সাধের পুরুষ !- তোমার ইতিহাস-
আমি আর কতটা জানি ? ঢের জানে আমার মা ।
তবে এটুকু জেনেছি-
তোমার হাড়েই নারীর জন্ম ইতিহাস আছে লেখা ।
তবুও তোমার আবক্ষজুড়ে বাজে
সব কালে ঝরে যাওয়া নারীর তীক্ষ্ণ আর্তনাদ ।
প্রেমহীন উন্মাদ তুমি; আজন্ম
নারীর শরীরজুড়ে ঢালো লালসার লালা ।
পুরুষ তোমাতেও শান্তি নেই । নেই রুচি ।


ঈশ্বর তোমার ঘরে-
অবশেষে আমার প্রত্যাবর্তন তাই
আমায় গ্রহণ করো , একটু জায়গা দাও
কবরে-কফিনে-শ্মশানে ।