ইতিহাস মুছে যায় নি আজো-


কাঁচা উঠানে
বেজান পিতা শুয়ে খোলা চোখে ; যেনো
অব্যক্ত বহু কথা বলার মুহুর্তে-
ছোট্ট বুলেট হিৎপিন্ডকে থেঁতলে দিয়েছে । এমন দৃশ্যে
আমার মা ! সোহাগী মা ! আমার দুঃখহারিনী মা !
মূর্ছা যেতে যেতে হৃদয়গতি ছিন্ন হলে-
সে এক দৃশ্য !
উজ্জ্বল শুভ্র পোশাকে মোড়া দু’টি লাশ !
পাশাপাশি শুয়ে চরম অভিমানে ।
দুলে দুলে চলে যায় আমার জীবন অন্ধকার পথে ।
বিবর্ণ অশ্রুর সাথে সেই প্রথমবার
আমার অরাজনৈতিক উত্থান । জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে-
বিপুলা পৃথিবী ক্ষুদ্র লাগে, যেনো নেই ,কেউ কোথাও নেই
দিন রাতের বাতাসে শুধুই হাহাকার । ঝরাপাতার চিৎকার !


পিতার মতো কেউ মুছে দেয়
ক্ষুধায় খামচেধরা পেটের যন্ত্রনা ; যৌতুক হিসেবে
আমার সদ্য চাঁচর ঢাকা বুক । আলগা ক’রে সব দেখে নেয়, ছূঁয়ে নেয়
হাঁটু – উরু – যোনি সব সব । অপমানে আর ঘৃনায়-
এমন নত হতে হতে আমার উত্থান !


মানুষের মজ্জায় আছে কি আর লজ্জা ?


খামোখাই যাতে নিভে না যায়
বুকের ভিতর দাউ দাউ জ্বলা অতীত
তাই তোমার বুকে পা রেখে আমার বুকের বসন উড়িয়েছি ।
জানি একদিন-
চরাচরব্যাপী কালো হাওয়া বদলাবে
এ নগ্ন বুক ঢেকে দেবে উৎসবের ফুলে
কোনো মজলিসে নয় ; এ পৃথিবীর বুকে
রাঙা সূর্য দেবে অশান্তিহীন স্পর্শের নতুন ভোর ।
                      পূর্ণ হবে আমার ,তোমার
                      নত হতে হতে এমন উত্থান ।