নির্মলা ! আমার নির্মলা !
তুমি আছো -  আজো তাই মানি ;
বহু শতাব্দী ক্ষয়ে ক্ষয়ে যে ইতিহাস লিখেছো
তার ধূসর পাতায়-পাতায় ভেসে ওঠে তোমার মুখ
আমারো সাধ হয়- আলতো করে
সেই মুখ তুলে আনি আমার ঘরে ।
দু’দন্ড মুখোমুখি বসি—তুমি আর আমি ;
তোমার দীঘল কালো মায়ার চোখের লিপি পড়তে পড়তে
কখন ভুলে যাবো বুকের ভেতর জমা ব্যাথা ।
আর নরম চিকন ঠোঁটের হাসির লাস্যে,
হয়তো মনেই রবে না যে—আকাশের বুকেও চাঁদ ওঠে ;
নির্মলা ! আমার নির্মলা !
এলো কেশে যখন তুমি দু’টি কথা বলবে-
তখন রাত্রির অনন্ত আঁধার ঠেলে ওঠা ভোরের মতো
আমার এবুকের মরা হাড়ে জন্মাবে ; কচি ঘাস -
আর পাগলের মতো বলে যাবো  -তোমার কথা ;
অন্তহীনা সেই নারীর ভাষা , সৃষ্টির ভাষা
বালিকার প্রথম প্রেমের লাজুক কথা ,
সদ্য বিবাহিত নারীর শরীরের সুঘ্রানে আকুলিত যুবকের কথা ;
আর নির্মলা ! আমার নির্মলা !
তুমি শুনতে শুনতে যখন আমায় স্পর্শ করবে,
তখন আমি মিশে যাবো তোমার শরীরে –
রয়ে যাবো ধূসর প্রেমের পাতায় পাতায় ।।