অলক্ষুণে মন আমার , যা  তা ভাবে সারাক্ষণ
এমনো কি হয় ? ভুলে যাবে আমায় !
এইতো কয়েক বছর আগে একটু চোখের আড়াল হলে-
ঝরাপাতার চিঠি দিতে উড়িয়ে দিনে-দুপুরে ।


তুমি আসবে বলে ;আজ-
সৃজিত স্বপ্নেরা হৈ হৈ করছে সোনালি ধানের মতো
কখন খই হয়ে ফুটে বুকের’ পর ; জানাবে-
কত রাত্রির কাহিনী, নক্ষত্রের গোপন কথা, আর
সয়েছে কত শালিক –চড়ুই এর বেহায়াপনা ।
হেমন্তের রাতে -  তুমি-আমি  জেগে রব নক্ষত্রের ভিড়ে,
শুনবে আমার আদুরে ভাষা । আর যদি না শোনো-
যা ! অবুঝ মন আমার , যা  তা ভাবে-
তুমি আসবে বলে ;আজ-
কাল রাতের আলতামাখা পা
ভোরের শিশিরে ধুয়ে গেছে-   ঘর-বাহির করে;
উদ্বেলিত নিঃসহায় মন, তাই শঙ্কা হানে-
যদি চাঁদ মেঘে ঢাকে !
না  না  অবুঝ মন আমার , যা  তা ভাবে-


তুমি আসবে বলে ;আজ-
ভিড় জমেছে স্কুলমাঠে, অটোগ্রাফ নিতে;
তাই মনে পড়ে ভীষন -  ধূম্রজালে মোড়া শৈশব ;
অগণন ভিড়েও চিনে নিতে মৌমাছির মতো ।
আজো কি বইবে সে বাতাস ? যা ফুটিয়েছিলো দু’টি লাল করবীফুল ।
যদি সে অতীত বাতাস ঝড় হয়ে আসে-
না  না  অবুঝ মন আমার , যা  তা ভাবে-


অবশেষে তুমি এলে-
বসন্ত যেনো শরীর ছূঁয়ে আলপনা আঁকে; দু’চোখে ভাসে এক সূর্য
কত অতীত ছিঁড়ে-ফুঁড়ে যখন মুখোমুখি তুমি-আমি;
যেনো সিন্ধুর তীরে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর প্রথম দু’জন ।
যেনো এক্ষুণি ভিজিবে সে মাটি নিবিড় সান্নিধ্যে;
এক পলকে স্বপ্ন ময়ূরীর ডানা ছিঁড়ে-
তুমি    দূরে  -   দূরে   চলিলে , দামি গাড়ির ধূলো উড়িয়ে –


আর এক টুকরো শাদা কাগজে লেখা -“বসন্ত” নিয়ে
অলক্ষুণে মন আমার জেগে রয় দিনে-রাতে ।