যেটুকু আলো দিয়েছিলে উপহার ,তাও গেছে নিভে
রুষ্ট কালপাখির ডানার ঝাপটে; তবু থামে না
শূন্য ঘরে ফেরার টান; জানি কেউ নাই
আছে শুধু অতীতের আবছা চিহ্ন
আছে মথিত হৃদয়ের বেদনাভার, নাই নীহার সম সুখ
বুঝি না এ পান্ডুর হৃদয় তবু কেন এতো উৎসুক ?
জানি ফাল্গুনী চাঁদ হেসে হেসে জোছনা ঢেলে-
বিদায় নেবে নোনা জলের জোয়ার এনে;
তবু আমি পারবো না বলতে অশ্রু-ছলছল আঁখি মেলে
আমারো চাঁদ ছিলো ,ছিলো ভুবনডাঙার জোছনা রাত !
বেলা শেষে সাঁঝের ময়ূখের পানে
নয়ন মেলে বুঝেছি যা;  শাশ্বত শূন্যে-
পদ্মপাতায় এক ফোঁটা জলের জীবন ।
যুগ-যুগান্তরে মহাকালের বুকের ’পর  -ঝরেছে কতো নীহারিকা !
কোন সুপ্ত বাসনায় প্রেম কুহেলিময় ?
এই বুঝি পৃথিবীর মায়া জীবনের মায়া
হয়তো তাই তোমারে ভুলি না –এ রৌরব কোলাহলে ।
আমার বুকের ‘পর ঝরা
তোমার শবের মতো নিথর শব্দতে করেছি-  কাব্য সাধনা !
হয়তো শতাব্দী পরে কোনো আহত প্রেমিক ; এ কবিতা
মন্ত্রের মতো পড়বে , জানবে সে-
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ভালোবেসেছি তোমায় ।


যদি অন্তরের কথা   প্রাণের কথা বলি
বুঝিবে কি এ উচ্ছৃঙ্খল জাতি ? কিসের তরে
হিমগর্ভ কবর হতে তুলে-  চুমেছি প্রিয়ার শব মধ্যরাতে ।
কানে কানে বলেছি –
যদি ঢালি আমার প্রাণের সব রুধি; তবে
ভাঙিবে কি তার এমন সর্বনেশে ঘুম ? তবু মেলেনি উত্তর
কত ভোর আহত হয়েছে আমার কেউ জানে নাই ?
শুধু কবরের মাটি বুকের পরে পড়েছে ঝরে !
              ……নির্মোহ তোমায় ভালোবেসে !