বিলাস বৈভব পূর্ণ হলে
যদি কখনো গো পড়ে মনে
খুঁজো আমায় কোনো এক জোছনা ঢলা রাতে;
ভাঙবে একে একে ভুল ; উঠবে ভেসে
নিবিড় নিস্তাপ রাত্রির বুকে-    সে অতীত ছলনার ছবি ।
আর জানবে তুমি, বুঝবে তুমি-
তোমার লুব্ধ ঐশ্বর্যের অন্তরালে ;
ঝরে গেছে করবীরাঙা এক নরম হৃদয়; মিশে গেছে
                                গাঢ় গূঢ় অন্ধকারে ।
উদার আকাশ পানে চেয়ে দেখো
অসহ্য লজ্জায় আভাস পাবে-  হীরে কুচি নক্ষত্রের মতো
কেউ পুড়ে গেছে দিনে-রাতে, তোমায় আলো দিতে । তবুও
যদি কখনো সম্মুখে আসে
হৃদয়-বিথান আমি  ,   আমার ছায়া ;
জানি পারবে না দু’ফোটা অশ্রু ঢালতে
         -  সে বোধ হারিয়েছে তোমার  !
যদি কখনো হাঁটো
জীবন গোধুলির ধূসর সিন্ধুতটে ; আর বালুচরে
তরঙ্গমথিত শাদা ফেনা লিখে যায় তোমার নাম ;
তুমি বুঝিবে সেই আমিই আছি জেগে নীরবে নিভৃতে-
             -এক সমুদ্দর হয়ে , তোমায় ভালোবেসে ।
সেদিন হয়তো খুব সাধ হবে নোনা জলে ভাসতে
ইচ্ছে হবে একবার বলি -“ তোমায় ভালোবাসি ” !
জেনো পারবে না – সে বোধ হারিয়েছো যন্ত্রের ছাঁচে ।


আমার হৃদয় উপড়ে
যে ফসল তুলেছো ঘরে
তাতে কি ভরেছে মন তোমার ? তুমি জানো তা ।
যদি ঐ রাশি রাশি স্বর্ণরেণু
দগ্ধ বালুকনা হয়ে -    ঝরে বুকের ‘পর;
মৌন চিত্তে ছূঁয়ে দেখো-  ভোরের শিশির
তার হিমস্পর্শে পাবে আমায়
সেই সকল কালের লাঞ্ছিতা আমি ; আজো ঝরি সকল রাতে !
বোঝো না কেউ ,তুমিও না
– সে বোধ হারিয়েছো যন্ত্রের ছাঁচে !