অগোছানো ঘরের বাইরে শিমুলঝরা সন্ধ্যায়
মুখোমুখি – আমি আর নচি দা ।
এক অদ্ভূত শিহরন ছোটে শরীর জুড়ে ;যখন
তার মৃদু কথাগুলি দীপ্তি বয়ে আনে ।
গালভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি, তেজস্বী চোখের চাহনি
দু’আঙুলের ফাঁকে জ্বলন্ত সিগারেট হাতে- এক পুরুষ ;
আমার কাছে যেন –নেশাময় মায়াময়
আকাশ হতে নেমে আসা গূঢ় কালপুরুষ !


এই সন্ধ্যায়  মনেহয়
মুখোমুখি দু’জনে বসে আছি আজন্মকাল
এই কঙ্কালসার পৃথিবীর বুকে ।
তবুও যেন ছড়িয়ে যায়-
ভোরের  এক কোমল নীলরঙা আকাশ
করবীলাল নরম সূর্যের প্রথম কিরন
……..আমারই সূর্যমুখী বুকে ;
ওঠে এক ওম উষ্ণতার ঢেউ !
আমাকে চিনিয়ে দেয়  
জীবনের ধার সমুদ্রের গভীরতা । আর
অদেখা এক ডানা মেলে ভেসে যাই তার সাথে
পৃথিবী হতে দূরে বহুদূরে   কোনো শান্ত দ্বীপে ।
সাঁঝের পালক সরে আসে নিবিড় রাত্রি
আসে সোনালী চাঁদ হেসে হেসে;
        থাকে না ক্রোধ ভয় যন্ত্রনা
        থাকে না গুহার মতো চোখের শোক দৃষ্টি
        থাকে না নিরপরাধ কঙ্কালের ফিসফিস ;
ভাসে না ঝলসানো পৃথিবীর করুণ মুখ । ঠিক তখনই
উন্মোচন করে কবির গোপন কলম ; উল্লাসে
ছূঁয়ে দিই তার তীক্ষ্ণ মুখ ,আর
মুক্তোর মতো শব্দেরা ঝরে আমার সর্বাঙ্গে ! যতক্ষণ না
একটা আস্ত কবিতা আমার রক্তে মিশে যাই ।
আর আমার বুকে সূর্যমুখী ফুল ফুটিয়ে
নচি দা নির্বাসন নিয়েছে এক অজ্ঞাত দ্বীপে ……..