-১(প্রেরণা)
এক দুপুরের মতো যৌবন সবার-  ঢলে গেলে
কি আর স্বাদ , সাধ রয় সাঁঝের শেষ ম্লান ময়ূখে !
শুধু রয় হারাবার ভয়- শাশ্বত রাত্রির ঘন নীল আঁধারে ।
তাই বলি মেঘবতী,
শিশির বিন্দু চিকচিকে যৌবন দু’জনার;
খোলস ভেঙে প্রজাপতি হয়ে চুপিসারে চেখে দেখি
একজন্ম  -পৃথিবীর স্বাদ  জীবনের স্বাদ ।

           -২(অনুরাগ)
এসো মেঘতবী (আমার মেঘবতী)
আরো কাছে এসো , এইতো সময় রঙ ছড়াবার ;
বসন্ত খিলখিলিয়ে উঠেছে তোমার বুক জুড়ে
সফরী চোখে স্বপ্নের বানভাসি; তবে ভয় কিসের ?
এসো মেঘতবী! (আমার মেঘবতী!)
ভালোবেসে, হৃদয় দিয়ে
নিবিড় বাহুবন্ধে  খুঁজে নেবো দু’জনার মিল ।
           -৩(মিলন)
অবশেষে লাজ ভেঙে রুনুঝুনু পায়ে -
ননী তনু লাস্যে ঝরালে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি  এ বুকের ‘পরে ;
শিখি পুচ্ছের মতো ছড়িয়ে হৃদয়, চুমি তার নয়ন দুটি ।
কেশ তার সুদূর কৈলাসের ঘ্রাণ বয়ে আনে
এ পৃথিবীর বুকে , আমার ঘরে - ( সে আমার মেঘবতী! ) ।
তলহারা রসগর্ভ ঠোঁটের লোধ্ররেণু ঠোঁটে নিয়ে
শিঙ্গার খুলি দু’হাতে; বিস্ময়ে দেখি-
পদ্ম কুঁড়ি আভা স্তনবৃন্ত তার , যৌবন অপার বয়ে যায়
ক্ষীণ কটিদেশ আর নাভিমূলে ।
মন্ত্রমুগ্ধ রসকলায়  (মেঘবতী! মেঘবতী! আমায় ডাকে)
প্রবল রিরংসায় থরথর এ যৌবন কেঁপে , দু’চোখে ভোর আসে ।


ভোরের আলোয় দেখি-
কাল রজনী দিয়ে গেছে উপহার প্রজাপতির তিন রঙ
          যা শুধু জানি  -আমি আর আমার মেঘবতী !