সংসারটা        ভালোই ছিলো
     হঠাৎ করে বাবুর ঘাড়ে
কবি হবার     ভূত চাপলো
     ঘূর্ণিঝড় ছিলোই আড়ে
রচে ছড়ার          নানান পদ
     ঘুনাক্ষরে পাইনি টের
সামনে তার        বড়ো বিপদ
     জমে ক্ষোভ হচ্ছে ঢের ।


ছুটির এক           সকাল বেলা
     ভাবছে বসে আকাশ পানে
ছড়ার তালে         খাচ্ছে দোলা
     আয়েশ করে একলা মনে ।
হঠাৎ করে         বউটি তার
     বললো রেগে “এই লাহিড়ী
আনতে হবে         ঢের বাজার
     মা যে আসছে মেয়ের বাড়ি'  ।
এক ঘন্টা             দুই ঘন্টা
     যায় যে বয়ে ভাবের বনে
পাশেই পড়ে         শূন্য থলেটা
     বৌ-এর কথা যায়নি কানে !
চমকে ওঠে          চেয়ার ছেড়ে
     তুবড়ি ফাটে “এই লাহিড়ী
আসলে তুমি         আস্ত ধেড়ে
     ঘুচিয়ে দেবো এ বাড়াবাড়ি ”


আসলো ধেয়ে      গুলির বেগে
      কাপ প্লেট আর খুন্তি
কানটি ঘেঁষে        বেলনা গেলে
     চেঁচিয়ে ওঠে “ও হৈমন্তী
প্রাণটা নেবে        ছড়ার দায়ে”
    গনগনে আঁচা উনুনেতে
খাতাপত্তর      সে কেড়ে নিয়ে
    ছূঁড়লো শেষে আচমকাতে।।


    ঝলসে হলো ছড়ার ভূত
    কালো ধোঁয়ায় বাতাসময় ;
    মাঝে মাঝেই কাঁপে হঠাৎ
    বাবু লাহিড়ী, কি তার ভয় ?
    বুঝি ঘুমঘোরে মটকায়
    ঘাড় ; ভূতনী যে বউ তার ।