আজ বুকের বাম দিকটায়,
               খুব কষ্ট হচ্ছে।
মনে হচ্ছে বুকের প্রত্যেকটা
       পাঁজর যন্ত্রণায় খন্ড বিখণ্ড
                    হয়ে যাচ্ছে।
একটা বছর হয়ে গেছে,
       কিন্তু স্মৃতিপট মলিন হয়নি একটুও।
সবটুকু কোনো রক্তাক্ত অক্ষরে
                     অঙ্কিত হয়েছে,
ভোলা হয়নি একটুও।
শুনেছিলাম, তুমি আমাকে প্রথম
              কোলে নিয়েছিলে।
তখন আমি সদ্যোজাত কন্যা সন্তান,
        জন্ম রক্ত লেগেছিল তোমার হাতে।
অপ্রস্তুত হওনি, তুলে নিয়েছিলে
               পরম স্নেহে।
তোমার মত আমিও রক্তস্নাত
        হয়েছিলাম; টেনে নিয়েছিলাম তোমায়।
ভয় পেয়েছিলাম তোমাকে চিরদিনের
                মত হারিয়ে ফেলার।
হাত সরে গেল সারাজীবনের মত।
রয়ে গেল যাবজ্জীবন খুনির তকমা,
আর গভীর ক্ষত।
হাত ধরে আমায় চলতে শিখিয়েছিলে,
            আমিও তোমায় শিখিয়েছিলাম।
শুধু তুমি প্রারম্ভে,
           আমি শেষে।
দেওয়া- নেওয়ার উর্ধে ছিল তোমার
             আমার টান,  বাকি সব?
সেতো বিকি কিনির হাট!
সেখানে সম্পর্কের দরদাম হয়,
             ওজন হয় আস্ত একটা সম্পর্কের।
ছোটবেলায় অসুস্থ হলে তোমার নিদ্রাহীন,
              চোখ আমায় পাহারা দিত।
তোমার বুকে মাথা রেখে,
               ধলে পড়তাম ঘুমের কোলে।
সেদিন বুঝিনি, যখন বুঝলাম তখন
তুমি আমার কোলে।
শুধু ভেবেছিলাম, এত সহনশীল তুমি
                   ' বাবা '।
বড় হয়ে গেছি এই ভেবে,
                কত ছোটো বড়ো কথা বলেছি।
তাও হাত ছেড়ে দাওনি কখনোও।
ভাবিনি সেই হাতটা হীমশীতল
                হয়ে যাবে চিরদিনের জন্য।
ভাবিনি চিরকালীন উচ্ছল মুখটা,
স্থির হয়ে যাবে।
রহস্য ভেদী চোখগুলো,
নিশ্চল হয়ে যাবে।
শুধু ভাবি দোষ দেব কাকে,
               নিজের পোড়া ভাগ্যকে? না
ওই নির্দয় ক্যান্সার কে?