নিকোশ কালো মেঘলা এ আকাশ,
তারে ভেবে এ নিরালা ছাড়ি দীর্ঘশ্বাস।
গোধূলি পাখিরা তাদের কুঞ্জন থামায়,
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত্রি ঘনায়।
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির কলগান ছন্দ তুলে যায় এ বাড়ীর চালে,
বিরোহের সুর দিয়ে যায় মোর কানে কানে,
ঠিক যেন এ মনের মধ্যিখানে।
বৃষ্টির এ পাগলাটে রিনঝিন সুর করে যায় মোরে উতলা,
মনুষ্য জাতি পারে না তা এড়াতে সে বেলা।
আমিও পারিনি হে সুহাসিনী!
খোলা জানালায় বিনিদ্র নয়নে দেখেছি লেবু পাতায়
নিস্কলঙ্কিত পথভোলা সে জল কণা,
তোমার আবির্ভাব বুঝেছি সেথায়।
কেন তুমি আমায় বারে বারে আঁটো তোমার মিছে মায়া বাঁধনে?
আমি চাই নে এ ক্ষণ সুখ মেঘে ঢাকা এ রজনীতে।
তুমি চলে যাও, আমাকে কর নাকো আর দিশেহারা।
আমি তোমার কৃপা চাই নে,
চেয়েছি তোমার অগাদ মমতা।
তুমি কি দিবে তা?
কনকনে শীত আমার চারিপাশ খুব,
তবু এ নির্জন ঘরে চাইনে সে ক্ষণ সুখ।
তুমি এসো! এসো হে ঘরণী!
যদি নাইবা পার, হবে কি ঘোরে নিদ্রাসঙ্গীনী?