একরাশ আঘ্রাণ নিয়ে বুক রোমন্থনে
পরাক্রান্ত নৈবেদ্যর বীজ-
অজ্ঞাত রক্তচাপ
ভ্রূণমালা তারও অঙ্গে দোলে
যে আকাশের যোনি হতে জন্মে
এটাই নিয়ম..
পৃথিবীর সাথে লিপ্ত সহবাসের প্রতিরাত
পালন করে ক্ষুধার্ত আত্মজ
সাঙ্গ হয় শরীর
আদুরে অ-সভ্যতার করমর্দনে
মজেছে যে প্রেতলোক
তার ছিটেফোঁটাও কাঙ্খিত নয়
প্রার্থিত বাসরে
তবু কলমের সাথে পরকীয়া চলে একান্তে
ঝলসে ওঠে বরমালা
অন্ধকারের লিঙ্গ নেচে ওঠে উন্মাদে
চুম্বন করে ধ্বংসস্তূপে;
শেষ কোথাও নেই..
মাটির উষ্ণ শুক্রাণুর স্পর্শে ধীরে ধীরে
তলিয়ে যাচ্ছে কামুক বোহেমিয়ান প্রহর;
অন্তর্বাস ছিঁড়ে হৃদযন্ত্রের মধ্যে ইঁটের গাঁথুনির
মালিকানা খোঁজে একচেটিয়া
হ্যাঁ, এর শেষ আছে, হয়েছেও..
অমৃত নাভিকুম্ভে আঙ্গুল ডুবিয়ে পাথুরে শোকে
নাশকতার কবিতা হয়ে ঝড়ে পড়েছে;
রাক্ষুসি চন্দ্রিমার মাসিক ক্ষরণে
প্রতিহিংসায় মেতে ওঠে যে রাত্রিকালীন বেদুইন,
ঝিঁঝিঁপোকার ডাকে, সেই বর্বর জাতির কথায় উঠে আসে
লুপ্ত, ধর্ষিত-প্রেমকাহিনী..