আসার কথা ছিল তার-
জলসাঘরের দাওয়াত-এ আমার সুরে খেলে,
গজল-ই-কালোয়াতি প্রাণ পাবে,তারই ঈপ্সায় l


সে তো এলো না..


কাব্যিক উচাটনে ঝলসে গেল গুলজার,
পিত্ত থলি উপচে পীড়িতির রক্ত l


রিপুর বীর্য..


উফ্! এতো স্খলন-কালীন দুঃস্বপ্ন,
মৃত্যুর রচনা!


মহড়া ছিল ধ্রুপদীর,
সংগোপনে নববধূর নন্দনকানন-
তঞ্চকতা বিছিন্ন দাদুরি-এর রূপকথা,
নায়িকা সংবাদ l


পর্দানশিন নটীর প্রসব যন্ত্রণা
নাকি-
আমার চোখে অন্ধকার
জানা নেই..
কুমারীর ঋতুস্রাব বন্ধ 'বিশ্বাসে' মিলিয়ে যায়নি,
ডুকরে ডুকরে তর্কে মেলাতে চেষ্টা করেছি l


পরশ্রীকাতর পৌরুষ জন্মান্ধ
বোঝেনি ভূমন্ডল-
খুঁজেছে সুঠাম নিতম্ব, উত্তল পয়োধর,
ডেকে এনেছে মৃত্যুঞ্জয়ী বদরী কণ্টক l


শিৎকার উঠেছিল শুশ্রূষা-এর গ্রন্থি থেকে..
আসামী বিছানা ছিঁড়ে খেল,
কারণে চিত্তশুদ্ধি লাভ-


নিরাকার.. নিস্তেজ..


আরেক
জলসাঘরে নেচে উঠেছিল তার ঘুঙুর
ঠুমরির তালে,
আমার প্রাণপণ দেখা তার আলতা পায়ের ঘূর্ণি
রাত্রিজ জনন কথা লিখেছিল,
রতির মিলনে মহাকাশের প্রজনন দেখেছিলাম-


নাহ্ ! আর কোনওদিন আসেনি..


আমার অপেক্ষার অবসান হয়নি-
ঝাঁঝরি-এর আড়াল থেকে তার উঁকিঝুঁকি
আমার চোখ গেলে দিয়েছিল,
তার অধরে খেলা কামদহে ছারখার হতে হতে
সেদিনও
তার ঘুঙুরের ছবি এঁকেছিলাম...