যখন বাড়ি থেকে বের হলাম–
এক নাতিদীর্ঘ সফরে; বিশ/পঁচিশ দিনের জন্য,
অফিসিয়াল এক কাজে; গজারিয়ার উদ্দেশ্যে,
শুভকামনা করে হাসিমুখে বিদায় দিচ্ছে সবাই।


সবার মাঝে, সবার সাথে 'সে'ও আছে,
এই 'সে' হলো জীবনের পরম পাওয়া,
সে'ও হেসেছিলো, হাসিমুখেই বিদায় দিলো;
তবে সেই বিদায়ের বেলা তার হাসি ভরা
অধরের কোনে, হাস্যোজ্জ্বল চোখের তারায়,
হৃদয়ের সুখ বাগানে ছিলো কিছু বেদনার সুর–
                 আর কেউ বুঝতে না পারলেও
আমি ঠিকই বুঝেছি- নিরবে সে কতটা দুঃখিত।


আমাকে ছেড়ে তার থাকতে অনেক কষ্ট হবে,
বিছানায় হাতরে যখন পাবে না আমাকে
নিরবে কাঁদবে রাত জেগে, আহা বেচারী!


আমিও যে কাঁদবো তাকে ছাড়া–
কাউকে বলে আসতে পারিনি এ কথা,
আমিও যে দুঃখিত হবো প্রতিমুহূর্তে–
সে কখনোই যেনো তা বুঝতে চায় না,
আহা বেচারী!  যেনো সে একাই ভালোবাসে।
------------------------------------------
১০/০৯ /২০১৮🖋️    
বাউশিয়ার চর, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা।


(দূর দ্যাশে বসে-১)