অসংখ্য রোগী, রাত নেই দিন নেই
এক এক করে আসছে, দূর থেকে,
বহুদূর থেকেও- আসছে আর যাচ্ছে।


আপন গ্রামের লোক বলে
সূদুর ঢাকাতেও ভিজিটে অনেক ছাড়,
কী নিবিড় পরিচর্যা! কী সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ!


অন্য সব ডাক্তারদের মতো নয় সে,
নয় অস্পষ্ট হিজিবিজি লেখার প্রেসক্রিপশন,
সবার সাথে হাতে হাত মেলাচ্ছে, হেসে হেসে,
মধুর কথায় জানছে রোগের বিবরণ।
খুব অবাক করা আচরণ তার, ভদ্রও বেশ,
এবং অনেক নামীদামী সব লোকও বলছে।


দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে একদিন আমিও–
আসলাম তার চেম্বারে, নানান অসুখে ধরেছে
আমাকে, ভালো আর হবো না এও জানি, তবুও
মৃত্যুর আগে যতটুকু ভালো থাকা যায়;
সেই এক আশা নিয়েই তো আসা।।


–আরে, এ যে তানভী কাকু! কি হয়েছে?
কবিতা লিখা চলছে তো, গ্রামের সবাই ভালো?
আপনার সব লিখা কিন্তু আমি পড়ি–।


আমি চশমা খুলে চোখ কচলিয়ে দেখি- 'এ যে,
চিরতরে অকালে চলে যাওয়া আমাদের
মানিক দা'র একমাত্র সন্তান হিমালয় দাশ!'
যে মানিক দা' সমাজের বৈষম্যের বিরুদ্ধে
হিমালয় দাশের ডাক নাম রেখেছিলেন 'মিছিল'।


সে-ই মিছিল, গ্রামের সেই ছেলেটা আজ;
বিখ্যাত ডাক্তার, দেশ-বিদেশ জুড়ে খুব নাম।
মায়ের আশা পূর্ণ করেছে, মানিক দা'ও বুঝি
স্বর্গ থেকে দেখে তৃপ্তির হাসি হাসছে।
আমরাও আজ গর্বিত তার জন্যে,
গর্ব করেই বলি, সে আমাদের প্রিয় ডাক্তার।।
--------------------------------------------
২০/০৮/২০১৯🖋️