কিছু শব্দ মনের আঙ্গিনায় সাজিয়েছিলাম,
এক দুই সিঁড়ি করে বেশ কয়েকটা সিঁড়ি-
"বিজয় দিবস" নিয়ে একটা কবিতা লিখবো;
লিখতে গিয়ে এ কোন প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে গেলাম–
কী দেখছি! রাজনৈতিক কলহ, হানাহানি, খুনোখুনি,
সাদা শাড়ি, সদ্য সিঁদুর মুছে ফেলা
কত নন্দিনী দাঁড়িয়ে আছে পাথর চোখে,
বাপের বাড়ি ছেড়ে আসার ঘা'টা এখনো              
                            শুকায় নি অনেকের।


অনেক মা আঁচল বিছিয়ে দু'হাতে গগনবিদারী
চিৎকারে বলে, 'খোকা তুই মরে গেলি কেনো?'
চালাকের ফাঁদে পড়ে কত তরুণী কাঁদছে
পতিতালয়ে, হাজার স্বপ্নের অকাল সমাধী।
লুটেরা টাকার পাহাড়ে- ধরা ছোঁয়ার বাইরে,
এমএ, বিএ, বিসিএস পাশ করে বসে কাঁদছে,
                         অজুত নিজুত সনদধারী।


অসম বাজার 'বাজার নীতি'
জোয়ার ভাটার মতো খেলে আর
'রাজার নীতি' বাক্যহীন দৃষ্টিতে হাসে।
ধর্ষণটা যেনো সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ,
লজ্জায় জীবনের ইতি টানা আত্মারা
              প্রতিরাতে দরজায় এসে বলে,
'আজও কেনো তাদের বিচার হয় না।'


বালুচরে গড়া বালির ঘরের মতো শব্দরা সব
হুমড়ি খেয়ে ভেঙ্গে গেলো, কবিতা আর
                     লিখা হলো না; হলো না,
এই জমকালো লোক দেখানো 'বিজয় দিবস'
তোমরাই পালন করো– আমি একা
চিৎকার করে বলি, বারবার বলে যাই– 'বিজয়!
এসেছিলো যেদিন- চলেও গিয়েছে সেদিন'।


আমি বিজয় দেখি নি, ইতিহাস থেকে জেনে                            
                    শুধু অন্তরে গেঁথে রেখেছি।
--------------------------------------------
১৪/১২/২০১৭🖋️