এখানে কাজ শেষে; যেখানে বিশ্রাম নেই,
পাঁচ তলা এক বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় থাকি-
জানালার গ্রীল ধরে উত্তরে দৃষ্টি রাখলেই
দেখতে পাই- গোমতী নদীর নিরবে বয়ে চলা,
তার উপর দিয়ে বিশাল এক সেতু,
পুর্ব পশ্চিম; দুটো পাড় করেছে এক।


সেতুর পশ্চিমে পাখির মোড়, পূর্বে দাউদকান্দি,
নদীর জলে ভেসে চলে অবিরত- বড় নৌকা,
জাহাজ, লঞ্চ- স্টিমার। মাঝে মাঝে দূর হতে
তীরের মতো ছুটে আসে; ছুটে যায়  স্পিডবোট,
শ্যালো মিশিনের ডিঙি নৌকাও চলে সারাদিন-
মাছ ধরে নদীটার নিরব বুকে ভেসে ভেসে
সব মিলিয়ে সারাদিনের ক্লান্তি কেটে যায়–
                              অশান্ত দৃষ্টি শীতল হয়।


তবে জানো কি? খোকার হামাগুড়ি দিয়ে চলা
হাঁটি হাঁটি পা পা করে হাঁটা, চার দাঁত মেলিয়ে
খিলখিল করে হাসি' দেখতে পারি না বলে
                                    খুব খারাপ লাগে–
খুব কষ্ট হয় বুকের ভিতরে কোথাও।
তার আধো আধো কণ্ঠে 'বা-বা' ডাক
                                শুনতে পারি না বলে,
এবং মেয়েটার বায়না আর জেদী অভিমানী
মুখখানি দেখতে পাইনা বলে,
খুব খারাপ লাগে– খুব কষ্ট হয়;
                              বুকের ভিতরে কোথাও।


তোমাকেও খুঁজে ব্যথিত হই সবসময়------।
_________________________
১২/০৯ /২০১৮🖋️                
বাউশিয়ার চর, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা।
(কবিতা খানি ছিলো মোহনা'র জন্য।)
(দূর দ্যাশে বসে- ৮)