'না না, উনার 'করোনা' হয় নি,
প্রায় সময়ই এই রোগটা উঠে, শ্বাসকষ্ট!
দু'তিন দিন ভুগে, ঔষধ খেলেই সারে,
–এই দেখুন, এগুলো সব উনার প্রেসক্রিপশন।


'করোনা'র উপসর্গের মধ্যে 'শ্বাসকষ্ট' অন্যতম,
'করোনা ইউনিট'-এ ভর্তি করাতেই হলো।
টেস্ট এর জন্য স্যাম্পল নিল কর্তৃপক্ষ–
ফলাফল আসার আগেই সব শেষ;
মৃতদেহের কাছে যেতে প্রশাসনের বাধা,
কোনরকম লাশটা আনা হলো বাড়িতে,
সারারাত পড়ে রইলো বারান্দায়,
ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতির শিকার হয়ে
পাড়া-পড়শীও কেউ আসলো না; মরা বাড়িতে।


পরদিন সূদুর ঢাকা থেকে পৌঁছলো বড় ছেলে,
লাশটার গোসল হলো বারো ঘন্টা পর,
জানাজা হলো বারো জন লোক দিয়ে,
কবরও দিলো সেই বারোজন লোকই মাত্র।
'করোনা'র সৃষ্টি না হলে লোকটার জানাজায়
বারো হাজারেরও বেশি লোক হতো...।


দু'দিন পর এমরান চাচার ফেসবুকে প্রকাশ–
'...পান দোকানদার মিজানের 'করোনা নেগেটিভ।'
-এই সংবাদ পড়ার পর থেকে আমি যেন
সেই লাশটার কান্না শুনতে পাই...
আহা! কত অবহেলায় পড়েছিলো সারারাত,
আতঙ্ক সবার মনে; 'করোনা'র উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু!
--------------------------------------------
২৮/০৭/২০২০🖋️            
উৎসর্গঃ মিজান মামা। যিনি আমার মায়ের চাচাতো ভাই ছিলেন।