কবিতাও হোক মুক্ত; মানুষের 'মন'-এর মতো,
কেন আজও কাবিতার পায়ে শৃঙ্খলের ক্ষত!
ছন্দ, পর্ব, চরণ সংখ্যা আর অন্ত্যমিল
কবিতাকে রেখেছে জরাজীর্ণতায় কিলবিল,
যে যেমন করে পারে; লিখুক মনের আনন্দে
দোষ ধরে মন বিষিয়ে দিওনা পদে পদে,
শুধু বলে দাও সব লেখকের অন্তরে-
কোন অশ্লীল, মঙ্গলহীন শব্দ যেন না ঝরে;
তাঁদের কলমের নিব থেকে.....
শৃঙ্খল মুক্ত কবিতা প্রসব হো'ক দিকে দিকে।


কবিতার পায়ে আজও পড়াতে হবে সোনার শিকল–
কেন তোমাদের মনে আজও এই মনবল?
অলঙ্কারের শিকল পড়ায়ে হয়েছেন যাঁরা বিখ্যাত;
তাঁরা বিখ্যাত হয়েই থাকুক না মনে অক্ষত,
তাঁদের মতোই লিখতে হবে; কেন এমন কথা?
নিত্যনতুন নিয়মে হো'ক নতুন নতুন কবিতা গাঁথা।


এই যে; কবিতার বন্দীদশা ছিন্ন করতে রেখেছি অন্ত্যমিল,
এ যেন কবিতাকে বন্দী করতে ঠুকে গেলাম আরও খিল;
আসলে এখন, মন চেয়েছিলো এমন–
তাই এভাবেই এই কবিতা হয়ে গেলো লিখন;
আবারও বলি, 'যে যেমন করে পারে;
লিখুক আপন মনের মতো করে।'


ছড়িয়ে পড়ুক সত্য-সুন্দর-আনন্দ চারদিকে
শৃঙ্খল মুক্ত কবিতা প্রসব হো'ক দিকে দিকে।
------------------------------------------
১৭/১১/২০১৯🖋