প্রায় বারো দিন হয়ে গেলো
সকাল বিকাল তোমার কত ব্যস্ততা!
তোমার শান্ত বুকের উপর ভেসে ভেসে এলো
কত বড় বড় লঞ্চ! জাহাজ-স্টিমার!
মাঝে মাঝে বুক চিড়ে ছোটে স্পিডবোট,
তুমিও কচুরিপানার ঝাঁক আর স্রোতের দিক
সকালে দক্ষিণে নিলে; বিকেলে নাও উত্তরে,
চাঁদের সাথে যুক্তি করে দেখাও
                         জোয়ার- ভাটার খেলা।


তবে জানো! তোমার প্রশস্ত বুক আর
অনেক গভীরতা নিয়ে সারাক্ষণ থাকো
টলটলে ভরা যৌবন ধরে; তবুও আমার
                      প্রেমিকা পাথরাজ নদী–
যার বুকে দশ মাস-ই হাঁটুজল, অপ্রশস্ত বুক,
থাকে নিরব স্রোত, দু'ধারে সবুজ ঘাস আর
      জলের নিচে চিকচিকে বালু, ছোটমাছ।


পাথরাজ কলেজের পশ্চিমে আঁকা-বাঁকা
নদীটার ধারে হেলে পড়া বিকেলে এসে দাঁড়ালে
কিছুতেই মন ঘরে আর ফিরতে চায় না–
শিশুকাল হতে তার কাছ থেকে যে ভালোবাসা,
                মমতা পেয়ে এসেছি এতদিন–
হে গোমতী নদী; তার সমান প্রেম তুমি
কোন দিনও পারবে না দিতে– পারবে না
                   মুহুর্তের জন্য প্রেমিকা হতে;
তাই তো তোমার পাড়ে বসেই ভাবি–
কবে ফিরবো আমার প্রেমিকার কোলে,
চেনা দৃশ্যে যাবো হারিয়ে, হৃদয়ের
                   শত বছরের তৃষ্ণা নিয়ে?
________________________
১৯/০৯ /২০১৮🖋️        
বাউশিয়ার চর, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা।


(দূর দ্যাশে বসে- ৫)