আষাঢ়ের শেষে বরষা এসে
       প্রকৃতির দুয়ারে দাঁড়ালো যখন,
           গল্প কবিতায়, গান- উপমায়
      ঘরে-বাহিরে ব্যস্ত সব কবি- মন।


                     যত কবি আঁকেন ছবি
      কবিতায় শত কথার মালা জুড়ে,
                   বৃষ্টি ভেজা, ছন্দে সাজা
      কাব্য যত ঠাঁই পায় মন মন্দিরে।।


         গীতিকার সব তোলেন কলরব
         লিখেন বর্ষা- নন্দ গানের কথা,
           সুরকার তাতে কত সুর মেখে
         ভুলিয়ে দেন পুরনো সব ব্যথা।।


           আমি তখন; একাকী নির্জন-
           রাখি চোখ পত্রিকার পাতায়,
       সায়মা ধর্ষণ! বিস্ফোরিত নয়ন
      কুঁকড়ে উঠি এক ভীষণ ব্যথায়।


        কতোবা তার; হবে বয়স আর?
         ছয়-সাত বছরের অবুঝ শিশু,
  শিরোনামে ধর্ষিত; দেহ ক্ষতবিক্ষত
     অকাল মরণে কাঁদে স্বয়ং যীশু।।


অন্য আরেক পাতায়, চোখ থমকে দাঁড়ায়
প্ল্যাকার্ড হাতে ছোট শিশুরা দেয় আক্কেল,
বুঝেনা কিছু তারা; পথে ছড়ায়ে অগ্নিধারা
'আংকেল, প্লিজ ডোন্ট রেপ মি, আংকেল...."


            হায়রে পুরুষ, হয়েছো বেহুশ
                রয়েছো কাম নেশাতে মত্ত;
             বুঝো না কিছু; বৃদ্ধ কি শিশু
     তোমার জন্য পৃথিবীটাই লজ্জিত।


শক্ত বিছানায় শুয়ে; ভাবি স্তব্ধ হয়ে
কি করে লিখেন তাঁরা বরষার কবিতা!
তাজা ফুলের মতো হয়ে ক্ষতবিক্ষত
শিশুরা যখন মরার আগে হয় ধর্ষিতা?


ওরে এবারের বরষায় সব কবিদের কবিতায়
রচিত হোক প্রতিবাদের অগ্নি বিছানা,
দূর হোক সব পাপ; তীব্র হোক বিচারিক তাপ
পৃথিবী হোক সব প্রাণে সুন্দর ঠিকানা।।
--------------------------------------
১৩/০৭/২০১৯🖋️