ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে এক শুভ্র ভোরে,
আত্মার মানুষদের একে একে ফেলছে মেরে,
                          তুমি সেদিন ছিলে না ঘরে;
                          সেদিন তুমিও যেতে মরে।।


সূর্য কিরণে জেগে উঠলে পরবাস–
জেনেছো, জীবনের কতটা হয়েছে সর্বনাশ!
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্যকে সেদিন
বিপদগামীরা করতে চেয়েছিলো চির মলিন।


দূর দেশে ছিলে বলে বেঁচে গেছো তুমি;
তোমার রক্তে কালো হয় নি জন্মভূমি,
হারায়ে বাবা-মা, ভাই এবং আত্মীয়-স্বজন,
ভাবি- কোন পাথরে শক্ত করে বেঁধেছিলে মন!
ফিরে এলে, শোক'কে শক্তিতে রূপান্তর করে–
স্বগৃহে, বাংলাদেশে- নাড়ি পোতা উঠোন'পরে।


শোক-দুঃখ, অভাব-অনটনে জরাজীর্ণ জনগণ
টুকরো কাচের মতো সব মানুষের ভাঙা মন,
আধোঘুম-জাগরণ থেকে জাগাতে আবার,
অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন- দুর্বার,
বাংলাদেশের পথে পথে; গ্রাম থেকে গ্রামে
সত্য সুন্দরের জন্য রইলে জীবন-মৃত্যু সংগ্রামে।


বঙ্গবন্ধুর পরে এই বাংলাদেশের ইতিহাসে;
তুমি ছাড়া– কাউকে দেখিনি সংগ্রামী ত্রাসে,
সেই তুমি; বঙ্গবন্ধু-কন্যা মানবতার জননী,
দেশের সরকার প্রধান, বাংলার পরশমণি।


তাইতো তোমার কাছে সবার বিপুল প্রত্যাশা-
সাথে রয়েছে সব মানুষের অসীম ভালোবাসা,
যত অনিয়ম, সুদ-ঘুষ আর অন্যায়-উৎপীড়ণ,
জুয়া-দুর্নীতি, জবর-দখল, খুন-গুম-ধর্ষণ,
রাজনৈতিক-সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় দলাদলি, দ্বন্দ্ব
ধনী-গরীব, শ্রমিক-মালিকের মাঝে অ-ভ্রাতৃত্ব–
দূর করো, দূর করো আমলাদের খবরদারি,
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অনৈতিক স্বেচ্ছাচারী।


তোমার হাত ধরে দেশ উঠে যাক অনেক উপরে,
ক্ষুধা-দারিদ্র, রক্ত-খেলায় যেনো মানুষ না মরে,
পৃথিবীর ইতিহাসে, শান্তির ইতিহাসে তুমি;
তোমার-আমার-আমাদের প্রিয় জন্মভূমি,
শ্রদ্ধার সাথে হয়ে থাকুক স্বর্ণাক্ষরে অমর–
তোমার জন্মদিনে এই কামনা করে যাই নিরন্তর।
--------------------------------------------
২৭/০৯/২০১৯🖋️      
উৎসর্গঃ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ।
শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
(জন্ম: ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর।)