শৈশবে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে আবার
ভীষণ ভাবে হৃদ-গহীনে করছে তোলপাড়।
ভাসাইনগর গ্রামের সেই প্রাইমারি স্কুলটি,
ডাকছে যেন; খেলতে মাঠে লুটোপুটি।
পূবের সেই নিমাইচন্ডি আছে কি না; জানি না,
কালীমন্দিরের উঠোনে সেই কদম গাছটা!
কত উঠেছি মগডালে, পেরেছিলাম ফুল–
স্মৃতিগুলো আজ হৃদয় উঠোনে দিচ্ছে ঝাপটা।


উত্তরে মার্শাল ডিস্টিলারিজ, আঁখের ক্ষেত
জাম্বুরার বল, স্কুল ফাঁকি– স্যার আপার বেত!
দক্ষিণে প্রাচীনকাল হতে বিখ্যাত বড় বাড়ি,
মসজিদ পুকুরে শৈশবের সবাই তো ডুবুরি।
হেলানো দালান ফুলের গাছটাকে ভালোবেসে;
উঠেনি তার ডালে–  বলতে পারবে না কেউ,
ফুল কুড়িয়ে পরম মমতায়  রাখতাম দুহাতে–
স্মৃতিগুলো আজ বুকে বেদনার বড় বড় ঢেউ।


আমাদের বাড়িটার সোজা পশ্চিমে- কবরস্থান,
যেতে যেতে হাতের বায়ে সবুজ ঈদগাহ ময়দান,
কবরস্থানের অদূর পশ্চিমে প্রকান্ড শিমুল গাছ
—টিয়া পাখি, ভাঁটি ফুল, বনফুল বারোমাস।
আর একটু এগোতেই পেয়ে যাই পাথরাজ নদী,
হাঁটুজলে নেমে, গর্তে হাত ঢুকিয়ে মাছ ধরা–
ঘোলা জল আর কাদাতে আনন্দিত শৈশব!
ভুল করে যদি একবার শৈশবে যেত ফেরা!


কে জানতো– শৈশব ছুটে পালায় বড় হতে হতে
জীবন-নিয়মে অনেক পরিবর্তন সময়ের সাথে!
শুধু থেকে যায় স্মৃতি; সুরক্ষিত এক গুদামঘরে,
হৃদয় ফিরিয়ে নেয় শৈশবের কল্লোলিত দুয়ারে।
মনে পড়ে কত কথা-ইতিহাস! কত যে প্রিয় মুখ,
শৈশবে সবার চেয়ে প্রিয় ছিল যে; সে-তো তুই,
তোর সাথে মাখামাখি, হাসি কান্নার সেই শৈশব
মনের আকাশকে করে রেখেছিল আনন্দের ভূঁই।
-------------------------------------------
০৮/০৭/২০২০🖋️    
উৎসর্গঃ  Kawsar Hamid Masum