নদী-নালা, খাল-বিল ফসলের ক্ষেত,
চারদিক জলে থৈ-থৈ; হয়েছে যে এক।


মরা নদী ছিলো যত পেয়ে গেছে যৌবন,
আষাঢ়-শ্রাবণের জলে সতেজতায় ঝাউবন।
গাঙের নয়া জলে খেলা করে মাছের দল,
গায়ে গায়ে যত জেলে, ভীষণ ভাবে প্রাঞ্জল।


সবুজের গায়ে ছিল যত ময়লা ধুলোবালি,
ধুয়েমুছে হয়েছে সাফ; নেই কোথাও কালি।
কৃষ্ণচূড়ার মগডালে উঠে ভরা পুকুরে ঝাঁপ,
উথাল-পাথাল প্রকৃতির বুকে পাখিদের ডাক।
হেসেছে হাস্নাহেনা, কদম ফুল, জেগেছে সব কবি,
কবিতায় আঁকে বরষায় অপরূপা বাংলা মায়ের ছবি।


এতো সৌন্দর্য, এতো সুখ, তবুও চাঁদে কলঙ্ক,
সবার ঘরে থাকে না যে সুখের কথা; পালঙ্ক।
নদী ভাঙনে ভেঙ্গে যায় শতসহস্র স্বপ্নের স্বর্গ,
পানি বন্দী কতক মানুষের ঘরটাই যে হয় মর্গ।
বরষা যেমন সুখের প্রতীক, তেমনিই দুঃখের
কারো কাছে মঙ্গল; কারো ইতিহাস অমঙ্গলের।


মানুষ তুমি আনন্দে হয়ে থেকো না বড্ড উন্মুখ,
এগিয়ে এসো করতে লাঘব তোমার পাশের দুখ্।
-------------------------------------------
১১/০৭/২০২০🖋️