এইতো, কত দিন আর হবে?
                               দু-চার-দশ বছর!
স্মৃতিগুলো তার চেয়েও তাজা, অথচ;
মনে হয়– গভীরভাবে মনে হয়
শত-সহস্র আলোকবর্ষের ব্যবধান মাত্র।


আচ্ছা তোমার সুখের প্রাচুর্য থেকে কি
                      নীল আকাশটা দেখা যায়?
অট্টালিকার জানালার স্বচ্ছ কাঁচ ভেদ করে
বিজলীর নিশান কখনো কি ঘরে প্রবেশ করে?
মেঘে মেঘে ঘর্ষণে সৃষ্ট শব্দের ভয়ে
জড়িয়ে ধরার মতো কেউ কি থাকে পাশে?


                      আচ্ছা বাদ দাও ওসব কথা–
বরষার জলে চুপসে যাওয়া চড়ুই বসে কি
তোমার জানালার কোন লৌহদন্ডে?
পাখিদের সকাল-সন্ধ্যা গান শুনতে কি পাও?
বৃষ্টি ভোর, বৃষ্টি সকাল, বৃষ্টি দুপুর, বৃষ্টি বিকেল
বৃষ্টি সন্ধ্যা, বৃষ্টি ভেজা গভীর রাত এবং
বৃষ্টি বাতাস কখনো কি অনুভব করো
আগের মতো- যখন আমি পাশে থাকতাম!


ইটপাথরের শহর ও সুবিশাল দালানের ভেতরে
সুখের প্রাচুর্য তোমার চঞ্চল দুষ্টু মনকে
                           বোবা করে রাখে নি তো?
এখনো কি রয়েছে জেগে তোমার ভেতরের
সেই উত্তাল প্রেমের আবেগ, মিষ্টি সুরে
                       সারাদিন গুনগুন করে চলা?
এখনো কি অনেক কথা জমা করে রাখো
কাউকে দিন শেষে শোনাবার জন্যে?


জানো? হাজার হাজার প্রশ্ন হৃদয়টাকে
               পিষে চলে অবিরত; অথচ প্রকৃতি
এবং নিয়তি শুধু মেনে নিতেই শিক্ষা দেয়।
-----------------------------------------
২৬/০৬/২০১৮🖋️