(১)
অবিশ্রান্ত ঝমঝম ছন্দে টিনের চালার উপর
               বরষার গভীর রাত নেমে এলে
ঘুম ভেঙ্গে যায় আগেরই মতো বারবার।


বারান্দায় এসে দাঁড়াই মুঠোফোন হাতে নিয়ে
চিরচেনা ম্যাসেজ টোন যদি বেজে উঠে!
যদি সে লিখে পাঠায়- 'জানালার কাছে
দাঁড়িয়ে আছি, ঝরে পড়া বরষা দেখছি,
মাঝেমাঝে দমকা হাওয়ায় বৃষ্টির ঝাপটায়
ভিজে যাচ্ছি, বারবার শিহরণ দিয়ে উঠছি,
তুমি কি জেগে আছো না-কি ঘুমিয়ে পড়েছো?


জানি; এমন বরষায় তোমার ঘুম ভেঙ্গে যায়,
গল্প, কবিতা আর উপন্যাসে ডুবে দৃষ্টিকে
বন্দী করে রাখা তোমার সহজাত স্বভাব।'


(২)
যদি সে লিখে পাঠায়–
'চলে এসো জানালার কাছে; জানালার
ভেতর থেকে দেখবো– তোমার ভেজা মুখ,
                            চুপসে যাওয়া চুল।
বারবার কেঁপে উঠা আমার সমগ্র শরীরে
বৃষ্টির জল ধরে ধরে ছিটিয়ে দাও, ধুয়ে দাও
চোখের পাপড়ি, লাজুক লাজুক মুখখানি,
ভিজিয়ে দাও কালো চুল, অবাধ্য ওড়না,
অনেকক্ষণ পরে বলবে– অনেক হলো;
            এবার বাড়ি ফিরে যাও সোনা।'


৩.
একের পর এক বরষা আসে,
যেন গত হয়ে যায় হাজার বরষা,
মেঘ বালিকাদের ডাকাডাকি,
বিজলীবাতির ভয় দেখানো খেলা–
দাঁড়িয়ে থেকেই, আজও দাঁড়িয়ে থেকেই;
ভোর হয়ে যায় প্রতিটা ঘনবরষা স্নাত রাত,
চারিদিকে শুরু হয় পদবীধারী কর্মীদের দৌড়,
                    ম্যাসেজ টোন বেজে উঠে না
কোন চিঠি আসে না হাজার বছর ধরে,
তবুও বারান্দায় করে চলি পায়চারি,
যদি অপেক্ষার প্রহর শেষ হতো কোনদিন!
------------------------------------------
২৬/০৬/২০১৮🖋️