তোমায় ছুঁয়েছিলাম; মাত্র দু'দিন আগে
আশ্চর্য, খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম!
মানুষের দেহ যে এত শীতল হতে পারে!
আমার কোন ধারণা ছিলো না;
আমি নিজেও শীতল হয়ে যাচ্ছিলাম।


কবিতার মতো চঞ্চল দেহ নিথর হবার পর–
ফিরে এলে নাড়ী পোতা জন্ম ভিটায়;
সফেদ কাপড়ে আপাদমস্তক মুড়িয়ে নিয়ে,
আতর, গোলাপজল আর কফুরের ঘ্রাণ,
আগরবাতিও জ্বালানো হলো শীঘ্রই,
স্বজনরা কাঁদছে, সবার হৃদয় হিম হয়ে গেছে,
আর তোমার আদরের সবচেয়ে ছোট ভাইটা
সারা বাড়ি পাগলের মতো হাঁটছে,
কাঁদছে, বারবার এর-ওর কাছে বলছে-
'আমার বাপ চলে গেল রে, শুধু বড় ভাই নয়;
বাপ ছিলো, সে আমার বাপ ছিল রে...।'
তোমার স্ত্রী! মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে
বারবার শুধু এক অভিযোগ-ই করে যাচ্ছে—
'এমন ভালো মানুষটাকে কেন সে
এত তাড়াতাড়ি ডেকে নিলো নিজের কাছে?'
বন্ধু-বান্ধব, স্বাধীনতা যুদ্ধের সহযোদ্ধারা–
এসেছে তোমাকে দেখতে; শেষ বারের মতো,
আগুন্তক; সকলেই ব্যথিত.......।


অথচ; তুমি সাড়া দিলে না!
ব্যথার সাগরে ভাসিয়ে ঘুমিয়েই রইলে!
হে বীর মুক্তিযোদ্ধা, হে কবি, হে নাট্যকার–
জন্মদিনের দু'দিন আগেও রচনা করে গেলে মৃত্যুদিন!
এ ব্যথার কোন ব্যথানাশক যে নেই;
শত-সহস্র ভক্তকূলের মাঝে।


আজ তোমার জন্মদিন–
লিখতে হলো শোকের কবিতা!
হে পিতৃতুল্য শ্রদ্ধাভাজনেষু বন্ধু— নিজেকে
মানাতে পারছি না কোন মতে,
পাজরে পাজরে তোমার শূন্যতা——
ভালো থেকো ও'পারে; সশ্রদ্ধ সালাম,
শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর দোয়া নিয়ে।
--------------------------------------------
১১/০১/২০২০🖋️  


উৎসর্গঃ প্রয়াত ফখরুল ইসলাম মানিক (Fakhrul Islam) ভাই।
জন্ম তারিখের দু’ দিন আগে, ৯ জানুয়ারি,২০২০ তিনি চির বিদায় নিয়েছেন।