দেখে আসছি দু-তিন বছর ধরে
          রঙিলা বসন্ত আসার পরে–
          ঘরের বাহিরে; ঝুপড়ি কোনে
          দুটো টুনটুনির ছোটাছুটি রাতদিনে।


          খোগসা গাছের দুটি পাতা-
          টেনে এক করে; দিয়ে আঠা,
          দেখতে— ঠিক ত্রিভুজের মতো
          প্রণয়ের নীড় বাঁধতে খুব ব্যস্ত।


          কোথা' হতে খড়কুটো, তুলো
          এনে জড়ো করে এলোমেলো;
          অতপর! সৌখিনতায় দিয়ে মন
          মমতায় শেষ করে নীড়ের বুনন।


          একটা নীড় গড়তে দুটো টুনটুনি–
          বেশ ক'দিন করলো অক্লান্ত খাটুনি,
          শেষ হলে নীড় বাঁধা–
          শুরু করে স্বপ্ন আঁকা....।।


          তবে বসন্তেরও মাঝে মাঝে;
          আকাশ হতে ঝড়-বৃষ্টি আসে,
          কবিদের কলমে কাব্য করে ভীড়—
          ভাবনায় আমার টুনটুনিদের নীড়।


          সেই নীড়টা থাকলে অক্ষত
          ভালোবাসা টিকে যায়- শাশ্বত,
          ছোট্ট নীড়ে প্রণয়ের ফলে আসে
          নতুন অতিথি, টুনটুনিরা হাসে।


          তারা; নতুন অতিথি আপ্যায়নে
          আরও ক'টা দিন ব্যস্ত সময় টানে,
          গানে গানে মুখরিত ছোট্ট নীড়–
          নাচানাচি, প্রণয়োল্লাস; অস্থির।।


          বসন্তময় সময় শেষ হয়!
          ছোট্ট নীড় শূন্য হয়ে রয়,
          খুঁজে পাই না— টোনাটুনি;
          অতিথিরাও সঙ্গী সন্ধানী।


          বুকের ভিতর ধক্ করে উঠে–
          শূন্য নীড় মৃদু সমীরণে কাঁপে,
          আহা বসন্ত! কেন এসে চলে যাও?
          কেন ক্ষণিকের সুখ দিয়ে কাঁদাও?


          বসন্ত' থাকতে যদি বারোমাস!
          ফুলেরাও দিয়ে যেতো সুবাস,
          ঘরসংসার ছেড়ে কোন টুনটুনি
          অন্যত্র যেতো না কোনোদিনই।
---------------------------------------
১৬/০৩/২০২০🖋️