সেহেরীর পর ফজর পর্যন্ত অপেক্ষা–
আজান হয়ে গেলে চাঁদ আর তারাদের
আইসোলিউশনে পাঠিয়ে ভোরের আকাশ
হয়ে যায় সঙ্গ নিরোধ; রাতের কালো সরিয়ে
আলো ফুটাতে চায় প্রকৃতির ঘোলাটে বুকে।


অফিসের অভ্যন্তরীণ কোয়ার্টারের অদূরে
          ঠিক এমনই প্রত্যেক সুবেহ-সাদিকে
কয়েকটা ছোট বড় নানান জাতের গাছের মধ্যে
একটি আম গাছের ডালে বসে কোন দোয়েল
গলা ফাটিয়ে আপন মনে প্রথম শিস বাজায়।


কান পেতে শুনি– শিস বাজাতেই থাকে,
দেখি ধীরে ধীরে কালো মুছে ফর্সা হয়
আমাদের সকাল, পাখিদের সংখ্যা বাড়ে,
দোয়েল পাখিটার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঘন ঘন
শিস বাজাতে থাকে অন্যসব পাখিরা-ও।


সবাই ঘুম থেকে উঠেছে; জানান দেয়,
পাশাপাশি অন্য গাছে চড়ুই পাখিদেরও
কিচিরমিচির কেচ্ছা কাহিনী শোনা যায়,
শোনা যায় দু-চারটা টুনটুনির কর্কশ গল্প।
সূর্যের আলো জমিনে আছড়ে পড়লে
যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে যায়–
                  আমিও কাজে চলে যাই।


'লক ডাউন' এর জেরে বিষন্ন সময় কাটে;
শুধু পাখিদের কলকাকলীতে ভরা সময়টা
উপভোগ করার মতো– ভীষণ ভালো লাগে।
পৃথিবী আবার সচল হলে, 'করোনা' বিতাড়িত
কিংবা 'লক ডাউন' উঠে গেলে; বাড়ি থেকেই
অফিস যাতায়াত শুরু হবে আবার–
এই সময়টা খুব অনুভব করবো তখন.....।
--------------------------------------------
০৬/০৫/২০২০🖋️        
#কোভিড_১৯ কালে লিখা...