নগরীর কয়েকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের সমন্বয়ে
একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
তারা কিছু অনুভূতিকে সন্দেহজনকভাবে
নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন।
আসামিদেরকে প্রায়ই একটি বিশেষ বাড়ির দিকে নজর রাখতে দেখা যায়,
এবাড়িতে কে আসে কে যায়
সবই তাদের নখদর্পণে।
তদন্ত কমিটি বাড়ির মালিকের নাম জানতে
ভূমি অফিসে যোগাযোগ করেছিল, লাভ হয়নি।
কর্মকর্তারা বলেছেন, মালিকের নামের জায়গায় প্রতিবারই 'স্বার্থপর' লেখা হয়েছে!
তবে কি অনুভূতিগুলো বাড়ির দখল নিতে চায়?
'স্বার্থপর' হতে চায়?
উত্তর খুঁজে পায়না বিশেষজ্ঞ দল,
তদন্ত কমিটির প্রধান মাথা চুলকে বলেন,
'গ্রেফতার করো ব্যাটাদের!'
অনুভূতিরা গ্রেফতার হয়,
দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়
কেউ তাদের খোঁজ নিতে আসে না।
অনেকবছর পরের এক সকালে
কয়েকটা অনুভূতিকে থানায় আসতে দেখা যায়।
তারা আসামিদের জামিন নেয়।
সব অনুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়৷
অশ্রুসিক্ত চোখে ঠোঁটের কোণে হাসি দেখা যায় কারও কারও।
এদিকে খাতায় লেখা ঠিকানা দেখে দারোগাবাবুর 'হায় হায়' আর থামে না।
নতুন অনুভূতিগুলো নাকি ওই বাড়িটারই বাসিন্দা, আর আসামির নাম 'স্বার্থপর'!