বর্নাঢ্য কিংবা অসীম পথের যাত্রী,
বন্ধুর পথের তীব্র শীতল রাত্রি,
পাহারা দেয় নীরবে।
মরু-কান্তার বা গিরিপথ সারী,
বুভুক্ষু কিংবা মহাকাশের বারি,
রাত্রি পল্লবের সৌরভে।
নব প্রভাতের শিখর চূড়ায়,
প্রেম চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায়,
আসিবে মর্তের মৃত্তিকা মোর,
বিস্মৃতি প্রদোষে অর্ঘ্যের ‘পর।
শুক্লপক্ষ হতে আনি,
রজনীগন্ধার বৃন্ত খানি।


তোমারি পদযুগলে করি সদা উৎসর্গ
ভ্রষ্ট হবে কি তার ফুল-নৈবেদ্য?
আজও তুমি নিজে,
হয়তো বা করিবে বচন,
মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নাবিষ্ট তোমার বচন।


আবার আসিবে কি এ হিয়া কোণে?
পরম লুটায় করিয়া আরাধ্য,
দূরে চলে যাবার দ্বিধা করি মনে,
সমর্পণ করি সব সুখ-নৈবেদ্য।
ছিল কি দীপশিখা? ষত্ব তব এ যবনিকা
আজো খুঁজে ফিরি সে আনন্দের কণিকা।


ওরে নিরুপম,
হৃদয় অঞ্জলি হতে মম,
কত প্রিয় নাম মৃদু মধু ভাষে,
শুনায়েছি তারে মাথা রাখি পাশে।
হবে মোর? লিখছি আরম্ভর,
কভু পাইনি এর উত্তর।
তবুও থাকুক না জমা, এ মনে, দুঃসহ অন্ধকার!