তোমাকে লিখতে চাইনি জানো তো-
তবু অজান্তেই লিখতে বসে গেলাম ;
তোমাকে এতো চেষ্টা করেও এখনো
ভুলতে পারিনি, ভুলতে পারিনি তোমার
মুখের মায়া ভরা হাসি;


তুমি চুপ আমিও চুপ মুখোমুখি দুজনের দীর্ঘ
চাহনিতে হঠাৎ প্রত্যাখানের শব্দ -" ভুলে যেও"
কয়েক মুহূর্ত নিস্তব্ধ তাকিয়ে থাকা তোমার পানে
আশেপাশে সব পাখিরা একযোগে বিক্ষোভে
সামিল কি অসহ্য কিচিরমিচির শব্দের মিছিল,
গাছেরা প্রলয়ের প্রস্তুতিতে দিশেহারা উদ্ভ্রান্ত
পায়ের নিচের মাটি কেমন কেঁপে কেঁপে উঠছে
নিজেকে বুঝে ওঠার আগেই তুমি অনেক দূরে!!


দীর্ঘ অমাবস্যায় তোমার-আমার শুক্লপক্ষ!


সেই নীল চুড়ি গুলো এখনো আগলে রেখেছি
তোমার দেয়া সিঁদুর পরবো বলেই সিঁথিতে-
অন্য কারো সিঁদুর পরা হয়নি আপন করে;
তোমার প্রিয় ছিলো আমার লেখা কবিতা-
তাই এখন আর ভালোবেসে লেখা হয়না,
নিয়ম করে তোমার কণ্ঠে আবৃত্তিও শোনা হয়না
তুমি তো আমার প্রিয় আবৃত্তিটাও পর করেছো,
সুখ-বিষে তুমি এখন নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছো
আলেয়ার আলতো ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় নিবিড় তুমি!!


তুমি এখন দিব্যি আছো-ঘর হয়েছো অন্য কারো
অন্য কারো বর হয়েছো-অন্য কারো সিঁথির সিঁদুর !