বৈশাখী অবেলা


বৈশাখের অবেলায় - দক্ষিণ আকাশ গায়
এলো ধেয়ে কালবৈশাখী,
ফিরছিলে মাঠ থেকে-ডাকলে আমায় দেখে
ধুলায় ঢাকলো দুটি আঁখি।
দূরে মেঘ ভেসে যায় - অসীম আকাশ গায়
বৈরী বাতাস ধুলা মাখে!
সুদূরে ছাতিম বনে - কিছু পরে এলে সনে
সবাই আমায় যেন ডাকে।
একি দেখি তব সাজ - ঝড়েতে কেড়েছে লাজ
বসন ছিঁড়েছে নিজ মত!
যেটুকু রেখেছে তার - মেঘে ঢেকে পথ আমার
উদ্বেলিত করে হিয়া যত!
কি দিয়ে ঢাকবো আজ -নির্জনে তোমার লাজ
সাঁঝ ডাকি তাই দূর বনে,
যদি যায় মেঘ সরে - গোধূলি আসবে ফিরে
মৃদু আলো ছড়াবে আনমনে।
সে আলোয় মুখ তবে - লজ্জাতে রাঙা হবে
আমার কপাল যাবে পুড়ে!
গোপনে গোধূলি বেলা - দেখে হবে উতলা
নির্জনে আঁধারিত নীড়ে!
এমনি ভাবনা এসে - বেঁধে নীল চারিপাশে
গহীন নির্জন কালো বনে,
খানিক পরেতে একি - সমীরণে মেঘ দেখি
গেল দূরে অসীমের সনে।
অবেলার আলো গায় - সূর্য দক্ষিণে যায়
লাল আভা মিশে ছায়া পথে,
অপরূপ রূপ লয়ে - মিশে গেলে এক হয়ে
লাজ ভুলে কায়া ঢেকে সাথে!
ধীরে ধীরে সাঁঝ এসে - আঁধারেতে গেল মিশে
এক হলো শরীরের ছায়া!
নির্জন রাতের পরে-জ্যোত্স্নালোকে গেলে ফিরে
রেখে গেলে গোধূলির মায়া!!


রচনাকাল: ২০১৭-১৮