গগন খুড়োর গানে ভাঙত ঘুম
সুর ভাসত গাঁয়ের পথে পথে ,
মধুর কণ্ঠে উঠত ভোরের রবি
আমার গাঁয়ের পূব সীমানার মাথে ।
তিন কূলে তার ছিল না তো কেউ
ভিক্ষা করে কাটত দিনের বেলা ,
বিকাল হলে ভাঙা চালায় বসে
মন্দিরেতে আসত সাঁঝের বেলা ।
একটি কথা বলতো দাওয়ায় বসে
মঙ্গল হয় প্রভাতী গানে ভোরে ,
তাইতো সে রোজ ঘুরত পথে পথে
নাম শুনাত সবার দোরে দোরে ।
ফাগুন শেষে এমনি সেদিন হবে
সুর এলোনা আর যে ভেসে কানে ,
ভীষণ রোগে ভুগছে না কি খুড়ো
দেখতে গেলাম মায়ের কথা শুনে ।
গিয়ে দেখি দাওয়ায় শুয়ে খুড়ো
গা পুড়ছে ভীষণ জ্বরে তার ,
কাছে যেতেই ডাকলে ইশারায়
বলল ধীরে ডাক এসেছে তার !
বেলায় সেদিন জুটল সারা গাঁ
গগন খুড়ো মুদল আঁখি শেষে ,
চোখের জলে বিদায় দিল সব
আজও ভোরে সুরটি আসে ভেসে ।
নিরক্ষর
24/3/2018



তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী।
তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।