স্মৃতির অতল তলে চলি খুঁজে খুঁজে
বেহিসাবি ছেঁড়া মেঘ আসমানে ভিজে,
উঠানে বিকাল ছায় বিহঙ্গ ডানায়
গোধূলির লাল আলো দিগন্তে ঘনায়।


দিনান্তের শেষ আভা রাত চায় চাঁদে
অভাগিনী রোজ রাতে নির্জনেতে কাঁদে,
স্বপ্ন বিলাসিত মন পিয়াসিত হিয়া
রাত আসে আঁধারেই পথেতে ঘুরিয়া,


কবে কোন শিশুমন ছাতিম তলায়
দিয়েছিনু পাতা গেঁথে পরায়ে গলায়!
সেদিনের সেই কথা সুপ্ত চেতনায়
বৈরী বাতাসে মিশে চঞ্চল গায়,


প্রতিদিন ভোর আসে নতুনের লাগি
দিন চলে খেয়ালেতে ব্যস্ততা মাগি!
বেলা বয় দুপুরের অলিগলি ঘাটে
ভিজে চোখ চেয়ে রয় দিগন্তের মাঠে,


যে পথে আদুল গায়ে সেই কবে ভোরে
আঁধারিত পথ ছিল আনমনে দূরে,
যে আঁধার আজো চায় সেই কচি মুখ
নীরবে প্রতীক্ষায় একাকিত্ত দুখ!


সেই মুখ যৌবনা শরীর নিস্তেজ
হরষিত রূপ ছায় অষ্টাদশী তেজ,
অন্বেষণ সমাপন পেলাম রাত্রিতে
কায়া টুকু রচে রূপ বিদীর্ণ অস্থিতে!


মনে হলো সেদিনের না বলা সকল
নির্জনে রচেছে সব আজ অবিকল,
অশ্রুসিক্ত দুই আঁখি শুধুই চাহিয়া
অধর ভাসিল তার অশ্রু বহিয়া!


বলিলাম আসিলাম রাত্রিবেলায়
পরাতে পাতার মালা তোমারই গলায়,
মেঘ গেল ধীরে সরে বৈরী বাতাসে
শ্বেত জ্যোত্স্নার আভা নির্মাল্য আকাশে!


ধীরে ধীরে বক্ষপরে জড়াইয়া তারে
কহিলাম থাকো প্রিয়ে আমার অন্তরে।