কে চলে গো ভিজে সাঁঝের বেলা
সমীরণে আসছে সুবাস ভেসে ,
অনেক খানি নয়তো সে যে দূরে
সন্ধ্যা আঁধার হারায় শরীর মিশে ।
খোলা দেখায় অনেক খানি পিঠ
ঢাকছে ভিজে চুল গুলি তায় মিশে ,
কোমর পরে আঁচল বাঁধা তবু
সাঁঝের আলোয় যাচ্ছে সকল ভেসে !
আমি ছিলাম আমার উঠান পরে
বেড়ার পাশে ছোট্ট পথের ধারে ,
ওই পথেতে রোজই নামে সাঁঝ
দিনের আলো খেলে মাটির ঘরে ।
তরুলতা জড়িয়ে বেড়ার গায়
চির সবুজ আমার একটু দূরে ,
গাছ গাছালি আগলে আছে পথ
ওরাও যেন দেখছে আড়াল করে ।
সেই তো আমার চেনা সুবাস খানি
ভিজলে ঘামে আসতো শরীর বেয়ে ,
হোকনা না আঁধার তবু দেখায় মুখ
ওষ্ঠে আজও সেই হাসিটি ছুঁয়ে !
নিত্য দিনেই সবাই প্রতীক্ষায়
বৈরী বাতাস সান্ধ্য উদাস ডাকে !
আমার রাত্রি গড়ায় ঘন মেঘে
স্মৃতির মোহে স্বপ্ন শুধুই থাকে !
এমনি করে চাঁদের আলোয় মিশে
আজও গেলে একলা আমায় রেখে,
সকাল দুপুর রাত্রি আসে রোজ
আমার বেলা কাটছে ছায়া দেখে ।
............. 27 .5 .2017 ................


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।