' চৈত্র ',-অবশেষে সমাপ্তির ঘোষনা,
সর্বাঙ্গ ঝলসানো, দাবদাহে কুকড়ে নিঃশেষ করেছ চেতনা;
ধরনির বক্ষ করেছ চৌচির, দিয়েছ অফুরন তেষ্টা...
নিঃস্ব করেছ, বিষাদ করেছ, মেটাওনি জ্বালা শেষটা;
নদী-নালা সব যৌবন ভ্রষ্টা, মৃত্যু পথের যাত্রী...
সাপিত তোমার ক্রোধে সকল - অহর্নিশ ,দিবারাত্রি ;
তুমি চৈত্র, তুমি দাবানল, তুমি-ই ধংসের রানী,
ধংস তোমাতে নিত্ত হাসে - ছরায় ধংস বানি;
অবশেষে তোমার ডাক পাঠাল ' বৈশাখ ' আসবে বলে,
ওরে চৈত্র ' ধ্বংসের দেবি -বৈশাখ নেব কোলে । ।
//
'বৈশাখ ',-তুমি সূচনার ত্বরে,
আমোদ - প্রমোদ, সুখ-সান্তি -আসার প্রদীপ জ্বালাও ঘরে;
বৈশাখ মানে নতুন স্বপ্ন, আবার পথ চলা ,
বৈশাখ মানে সৃষ্টির খেলা , ধরনির সে নিরস বুকে সরস কথা বলা;
আম্র মুকুলের গন্ধ তুমি -মধুর বংশী সুর,
এস বৈশাখ নব উদ্দগে, -বিরহ কর দূর;
পরিধান কর নতুন বস্ত্র, স্বপ্ন ঢাল চোখে,
অবসান হোক দুর্গম পথ, আলোর সঞ্চার কর বুকে;
ভগ্ন হৃদয় - রুক্ষ দুয়ার তোমায় আমন্ত্রণে. ..
অহর্নিশ জ্বলছে প্রদীপ -জ্বলছে আপন মনে;
আসার আলো জ্বেলেছি অঙ্গে, বিলিন হব তোমাতে,
করব বরন বৈশাখ তোমায় বৈশাখ প্রভাতে ।।