হাইস্কুলে প্রথম যখন দেখেছিলাম তাকে,
নীল স্কাট সাদা জামা, সিড়ির ওই বাঁকে।
মুখ ছিল চাঁদের মতো,চুল ছিল কালো,
ঠোঁটে ছিল মৃদু হাসি, লাগতো আমায় ভালো।
টানাটানা চোখ ছিল,মাথায় চুল বাঁধা,
সাথে ছিল স্কুল ব্যাগ পিঠেতে বাঁধা।
একি সাথে পড়তাম মোরা একই ক্লাসে,
রুমটি ছিল একতলায় সিড়ির ডান পাশে।
বসতো সে প্রথম বেঞ্চি করতো পড়া রোজ,
স্কুলেতে না আসলে নিতাম আমি খোঁজ।
এই ভাবে কেটে গেলো কিছু বছর বেশ,
অষ্টম শ্রেণিতে উঠলাম মোরা সপ্তম শ্রেণী শেষ।
এতদিন কেটে গেলো জানলোনা কেউ,
মনের মধ্যে সৃষ্টি হলো ভালোবাসার ঢেউ।
বন্ধুদের বললাম আমি ওকে ভালবাসি,
বন্ধুরা সব আমায় নিয়ে করে হাসাহাসি।
তারপর মোর ভালোবাসা হয়ে গেলো ফাঁস,
বন্ধুরা সব শুধালো মোরে তুই কি ওকে চাস?
আমি বলি ওকে আমি বড্ড ভালোবাসি,
দেখতে আমার ভালোলাগে ওর মুখের হাসি।
জেনে গেলো সেও আমি ভালোবাসি তাকে,
মুখটি আমি দেখতাম বসে ক্লাসের ফাঁকে।
কিন্তু সে শুনতো না মোর কোনো কথা,
থাকতো সে দূরে দূরে দিয়ে আমার ব্যাথা।
একদিন ওরে বললাম ডেকে তোরে ভালোবাসি,
সারাজীবন থাকতে চাই তার পাশাপাশি।
বললো সে আমি যেনো তাকে ভুলে যাই,
আমার ভালোবাসার তার মনেতে নাই কোনো ঠাই।
এই কথা শুনে আমার মনে লাগলো ব্যাথা,
সারাদিন ভাবতাম বসে শুধুই ওর কথা।
দিনে দিনে ভালোবাসা মোর বেড়ে যায়,
ভুলতে চাইলেও তাকে আমি, উপাই নাহি পাই।
ওর কাছে মোর ভালোবাসার ছিলনা কোনো দাম,
না চাইলেও আমি ওর খুব ভালবাসতাম।
বহু চেষ্টা করেও ওর মনেতে জাগেনি ভালোবাসা,
ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে যাই আমার মনের আশা।
এই ভাবে চলতে থাকলো কাটলো না রেশ,
ধীরে ধীরে হয়ে গেলো স্কুল জীবন শেষ।
দূর হয়ে গেলাম মোর ভালোবাসার থেকে,
চলে গেলো সে আমার অন্ধকারে রেখে।
মাঝে মাঝে যেতাম আমি দেখতে ওই মুখ,
দেখা হলে ভালই লাগতো, না পেলে দুঃখ।
বাবা মাকে শ্রদ্ধা করতো,ছিল মনে ভক্তি,
হয়তো সে ভালোবাসতো,বলার ছিলনা শক্তি।
আবার গেলো কিছু বছর এই ভাবে কেটে,
হাসিটা আর দেখতে পাইনা ওই মিষ্টি ঠোঁটে।
এখন তার হয়েছে বিয়ে,হয়েছে একটি ছেলে,
খবর তার নিতাম আমি বন্ধুদের দেখতে পেলে।
আজও তার ভুলিনি আমি আছে মোর মনে,
প্রথম প্রেম কি ভোলা যায়,থেকে যাই হৃদয়ের কোণে।
যেখানেই থাক ভালো থাক এই আমি চাই,
ভালোবাসলেই যে তাকে পেতে হবে এমনটা তো নই