১) মস্তিষ্কের এ শূণ্যস্থানে আজ ভাসা ভাসা স্মৃতি। ধরনী তরে ভালোবাসার উৎসবে আজ আমি রচি নিরানন্দ সব গীতি।


প্রিয়,


আমি কখনো তোমার কবিতা হয়ে উঠিনি
হয়ে উঠিনি তোমার গাওয়া গান
অথচ, তোমার গানের শব্দ
কুকড়ে খায় এ মস্তিষ্কের শূণ্যস্থান।।


(২) পথে যেতে যেতে, প্রথম তোমায় বলেছিলাম হেসে - ভালোবাসি, ভালোবাসি প্রিয় ; সাজিয়ে দেবো উপমা তার চেয়েও।  


প্রিয়,


আমি বলেনি তোমায় অযোচিত কোন শব্দ
ছুই নি তোমায় প্রেমহীন শরীরে -
অভিশাপ দিয়েছি ভালো থাকার অজস্র যৌবনে
কলমের কালিতে সহস্র উপমা দিয়ে।


(৩) কবিতা প্রিয়, প্রিয় তুমি। প্রিয় কবিদের আকা চিত্রে, তোমায় ভেবে আমি মরি!


প্রিয়,


জীবনানন্দের বনলতা কিংবা সুরঞ্জনা
নজরুলের নার্গিস, রবীন্দ্রনাথের অদেখা নারী
আমার চোখে তুমি ছিলে
রৌদেলা দুপুরে প্রেমভিক্ষু এক পিপাসী ।
আল মাহমুদের সোনালি কাবিন জড়িয়ে
তোমায় মনের অব্যক্ত বলতে,
আমি এসেছিলাম তোমার দুয়ারে
কেবল ভালোবাসা দিতে মুড়িয়ে ।


হয়তবা আমি হতে পারিনি ছফা!
তাই বলা হয় নি, তুমি -
অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী!
তুমি আমার স্মৃতিলতা , প্রেমকাব্য কথা ।


(৪) কতো ঝড় এলো , হাতদুখানি ছুটিতে। ভালোবাসার কাব্য রচে, আছি আমি বৈঠা হাতে, চেয়ে দেখো ঐ নূহের তরণীতে!


প্রিয়,


শত বিনিদ্র আখি যপি,
কাল, মহাকালে তুমি এলে বুঝি মরনে!
যৌবনের অকাল ঢেউয়ে আমি ভাসি
ঐ নজরুলের প্রেমো তরণে ।
আমি রচি গান, গীতি-কাব্য-কবিতা
সংসারে ছড়াই প্রেমের বন্দনা,
তোমারে লয়ে হইতে যুগলা
আমি ধরনী করি চঞ্চলা  ।


(৫) ভালোবাসি গান, তবু বাসি না!  হৃদয় জুড়ে আবর্ত বন্দনারা, কেবল বাহিরে শব্দ ; ভিতরে তীব্র সুরের মুচ্ছর্মান ! তুমি গান প্রিয়, রজনী বাহবা তোমার শ্রুতিতে। সুরে ভাসো তুমি, সুরে তুমি জাগো ! আমি উতলা!


প্রিয়,


অথচো, তোমার প্রিয় গানে আমি নেই ,
যে গানে দুমড়ে মুচকে যেতাম
ভেসে উঠতো অন্য কোন কালপরুষ,
আর এ গান ভালোবাসি না বলে
প্রশ্ন হতো ডায়েরির কোণে -
আমি কি আদিম অসভ্য পুরুষ !


(৬) শতো ধ্বনির শতো ব্যঞ্জনা,
অনলে ভাসা সুর,
প্রভাত পেরিয়ে রাত্রি নামলে
হিয়ার মাঝে বইতো অসুখ !


Believe me , Sweet heart !
I crave for your love to the Lord , Though
I'm a bloody primitive !
I learn to live without love
I'm a bloody primitive
I learn to live without you .
I'm a bloody primitive
I ' learn to fall of ' the WORLD.


(৭) প্রিয়, হারিয়েছি !
হারিয়েছি নিজেকে অনন্ত জগতে যেদিন জীবনের সবচে ' প্রিয় মানুষটাকে মাটিতে মাটি দিয়েছি।


লোকে বলে, এক লাশে এক সত্ত্বা দাফন হয় , আমি সেদিন তিন সত্ত্বাকে দাফন দিয়েছি ; তাকে , তোমাকে আর নিজেকে।


ঘর খানা পড়ে আছে, লোকে দেখে, ঘরের যে মানুষ নাই তার খোজ কে রাখে!  


(৮) পৃথিবী জুড়ে আজ এতো ঝড়, বন্যা, মহামারী , বৈরী!


হে প্রিয়,
জেনে নিও


আজ প্রকৃতি বড় অসহায় আমি অসহায় বলে,
পৃথিবীর অসুখ সাড়বে না এ হৃদয়ের ক্ষত দূর না হলে।।


(৯) হে মহাকাল, আমার কন্ঠে ভগবান সাড়া দেন। আমার পেশীতে বিশ্ব চলে, তবু আমি নির্জীব ,  কেবল ললাটের দিকে তাকিয়ে ! আমি স্থির ঐ মেদীনির বিহবলে !


হে রুদ্র, সময় স্রোতে আবার হয়তো দেখা হবে, নয়তো বিলীন হবো মহাকালের গর্ভে, অন্য কোন ধরনীতে, অন্য কোন রুপচ্ছায়াতে, আবার হয়তো দেখা হবে তার সাথে !