মনের ঠিকানা আপন ভাবনা কেহ কি বলিতে পারে
পড়ন্ত বেলায় উড়ন্ত পাখিরা বলে দিয়ে যাবে তারে।
        দিন যায় রাত আসে নিয়মের বসে
              ভাবনারা ভেসে যায় ধূসর আকাশে
জীবন নিরাশ হিসাব-নিকাশ রয়ে যায় অপ্রকাশে।


ঘুরিতে আসিয়া রহিছে বসিয়া উড়িবার নাম নাই
বেলা যায় পটে কত কিছু ঘটে বসে বসে দেখে তাই।
        সারাদিন ঘুরা ঘুরি এই মাঠে ঘাটে  
              কৃষকের দিন কাটে ফসলের মাঠে
পাখি ফিরে নীড়ে সীমারেখা ছিঁড়ে থাকে না আর তল্লাটে।


ধীরে ধীরে আলো হয়ে আসে কালো পিছু পিছু ধায় রাত
মাঠে ছিল যারা বাড়ি ফিরে তারা ঘরে যেয়ে হবে কাত।
       আধপেটা খেতে হয়, পরিমিত আয়
              কষ্টের তরণী বায় জীবনের নায়
দাওয়ায় বসে দুঃখ নিয়ে হাসে কেন এত অন্তরায়।


মাটির মমতা আপন অস্মিতা রেখেছে দুহিতা করে
জন্ম-জন্মান্তরে দেশটি অন্তরে স্মরণ করিয়া মরে।
        গরিবের হালচাল রয়েছে বহাল
              অহরহ নাজেহাল হয় আজকাল
জীবন বহতা কেহ অভিনেতা রহিবে কত অকাল।


   অস্মিতা > অহংকার