রাস্তার ঝরাপাতার উপর দিয়ে হাটতে হাটতে,
কৃষ্ণগহ্বরে পৌছে গেলাম আমি ।
নিকষ, ঠান্ডা অন্ধকার - শুনেছি আলোর শেষ দ্রুতিকেও গ্রাস করে ।
তবে পুরানে কথিত রাহুর সূর্য গ্রাসের মতন ক্ষনিকের নয় তা ।
আলো-শব্দ-মাটি হীন অন্ধকারে হাটছি আমি, নিঃসঙ্গ  ।
আমার চারপাশে জীবনের হারিয়ে যাওয়া খণ্ড রা চলছে,
অথবা ঘুরছে বলা ভালো । কখনও  চক্রবৎ, কখনওবা সমান্তরাল,
অলৌকিক ঘূর্ণির মত অস্থিরভাবে,
কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মেঘের মতন ।


কিন্তু ফিজিক্সের তত্ত্বকে ভূল বলে মনে হয় ।
অতীতের খণ্ডগুলোকে ছুতে পারছি আমি ।
তারাও আমার চেতনাকে বিদীর্ণ করে যাচ্ছে বারবার,
রক্তাক্ত করে আমাকে ।
কালো রক্ত ছড়িয়ে পড়ছে অজানা এই ডাইমেনশানে ।
আশ্ব্স্ত করি নিজেকে - এ কালো রক্ত আমার নয়,
এ স্পেস-টাইম- ব্ল্যাকহোলের মায়া-বিভ্রম নিশ্চয় ।
আমি যে মানুষ ! লাল রক্তের অধীকারি ।
নাকি, নিজের অন্তরের নিঃসঙ্গতার কৃষ্ণগহ্বরে
আত্মদর্শন করলাম আমি !
নিজেকে মানু্ষ ভাবার শেষ আলোটুকুও হারিয়ে গেল এই কৃষ্ণগহ্বরে ।