সারাদিনের প্যাচপ্যাচে গরম শেষে
রাতের বেলা হটাৎ ছাদে গেলাম ,
অনেকদিন পর ।
ব্যস্ত অফিসের অবশিষ্ট সময়ে অবলুপ্ত স্মৃতিতে
মনে পড়তে থাকে ছাদ ঘিরে থাকা অনেক কথা ।
আজ দক্ষিণা বাতাস থেকে-থেকে নিজের সুর বাজিয়ে যায় ।
আসছে , যাচ্ছে , আবার আসছে ।
যেন গুমোট গরমের সাথে লুকোচুরি খেলছে সে ।
সেদিনও ঠিক এমনই ছিল মনে হয় !!!
ছিল আজকের মতন ঝিকমিক আকাশ ।
সেদিন প্রথম কৈশোরে, পাশাপাশি ছিলাম আমরা ,
অস্প্রশ্যা অথচ !! কোনো ব্যথা নেই তার জন্য ,
শুধু স্মৃতি রয়ে গেছে  । চলে গেছ তুমি অনেকদূরে ।
সময়ের তট বয়ে ছাদ দিয়েছে আরও অনেক ।
সেই অগুনতি বিকেল, তোমার সাথে অসময়ের কথা,
মোবাইলের অপার থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ।


না , অনেক হল ।
এবার ছাদ থেকে যেতে হবে, গুমোট ভাবটা ফিরে এসেছে ।
আমাকে অবাক করে রিনরিনে বাতাস বইল আবার -
শরীর স্পর্শ করে ।  শরীর থেকে রন্ধ্রে, রন্ধ্র থেকে মর্মে
সেই স্পর্শ ছড়িয়ে পড়ে ।
অফিসের এ.সি. তে থাকা আমি
কাঙালের মতন সেই অমৃতের আহ্বান করি , আরও আরও ।
বাতাসের বেগ একটু জোড়ে হয় ।
চোখ বন্ধ করে আমি অনুভব করি সেই দুর্লভ আস্বাদন ।
আমার জীবনেই দুর্লভ হয়ত !!!
আর কারো এত নষ্ট করবার  সময় নেই বলে বোধহয় ।


কানে আসে ঝিঁঝিঁর ডাক , নারকেল গাছের মড়মড় শব্দ ।
শুধু কালো গাছগুলির ওপারে আকাশে উঁকি দেওয়া মোবাইল টাওয়াড়টা
বড় বেখাপ্পা লাগে ।
আবার গুমোট , আমি ফেরবার জন্য পা বাড়াই ।
ছাদ বলে যেও না, তোমায় আদর করি প্রাণভরে ।
আবার শিরশির শব্দের হাওয়ায় ভরে ওঠে চরাচর ।
দূরে শোনা যায় ব্যাঙচির ডাক – মিলনের আর্তি ।
বোধহয় বর্ষার অপেক্ষায় থেকে সে ও আশাহীন ও অধৈর্যশীল ।
মিলনের আর্তি ছাপিয়ে উঠেছে  তার ছোট্ট শরীরেও,
নাকি , বর্ষার আগমনী গাইছে সে ।
এবার ফিরতি প থে পা বাড়াই, আমার ছাদকে বিমুখ করে ।
দরজা দিয়ে ফিরে যাই আমার বদ্ধ জীবনে ।