যদি বলো প্রথম সুপ্রভাত, প্রথম ভালোলাগা
আমি বলবো তুমি!
যদি বলো প্রথম চাওয়া, প্রথম প্রেম?
আমি শুধাবো তুমি।
যদি বলো-মৃত্তিকার বুকে প্রথম বৃক্ষ
যার শিকড় আপ্লুত শিরা
প্রতি রন্ধে রন্ধে উজ্জ্বিবিত;
চিন্তাশক্তির একমাত্র পুঞ্জিভূতা
যার মূল বেঁচে থাকার উৎস
আমি বলবো, তুমি।
যদি, হাজার প্রশ্নের
হাজার বেদনার সমাধান চাও
পৃথিবীর সব জটিলতার উপায়,
ঠিক রাখতে চাও জীবনের স্বাভাবিক রূপ
মনো-মন্দিরের দীপ্ত সুপ্ত বাসনা
জয়-পরাজয়ের আলাদিনের চাবিকাঠি
আমি বলবো তুমি।
যদি, প্রচন্ড বর্ষা বা ততোধিক শীতের কোন গভীর নিশিতে
তন্দ্রা ভাংগে তোমার
শীয়রের কাছে জানালাটা খুলিও
আমারে দেখিবে তুমি।
সেই দিন, তুমি কি খুব অবাক হবে?
নাকি শত বেদনার বিদীত মালা
আমার যতো না পাওয়ার দুঃখ
অতি যতনে লুকানো অশ্রু দগ্ধ দুটো আঁখির
সবি তোমার জানা।
তবু যদি বিস্ময় ভরে বলো-কেন এই গোপনতা ?
আমিতো বলবো শুধু তুমি !
যদি বলো-ঝর্ণার ঝড়ায় নদীর তটায়
তোমার কত সুখ
বিজলীর গোমটায় রাঙ্গা গগনের কতো হুংকার
বাদলার দিনে বর্ষণের কতো রূপ কতো শব্দ
আমি বলবো তোমার অধরযুগলের, মুক্ত দন্তের সুঘ্রাণ প্রিয়
সেই হাসির ঝংকার,
হাজার শব্দের হাজার গানের উৎস,
যা শ্রবনে থমকে দাড়ায় পথিক বিশ্ব
আমি যাদুমন্ত্র হয়ে যাই
পাগলের মত ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দিতে!
শত মাধুরী মিশানো আমার চলার শক্তি
তুমি আমার শুধু আমার
ব্যাক্তিগত সম্পদ।
পিপাসায় কাতর কোন মরু সৈনিকের কাছে
যতোটা প্রিয় এক পেয়ালা জল
তার থেকে প্রিয় আর কিছু আছে কি ?
আমি বলবো আছে, যা শুধুই তুমি।
যদি পিয়ানোর সুরে
কোনদিন নেচে যায় তোমার মন
ভালোলাগে কোন ফুল
তবে মনে রেখ
সেই ফুলটি হচ্ছো তুমি
যা অর্জনে আমি সচেষ্ট
যার রূপে আমি বিমোহিত, সভ্য
যার গভীরে লুকায়িত আমার প্রেমের শত কথা
হাজারো রং তুলি
যেই তুলি দিয়ে আমি এঁকে যাই হাজার স্বপ্ন
তুমি তা জানো কি
হে সপ্তর্ষী----।
যদি জ্যোৎস্নালোকিত কোন মধুর রাত্রে ডাকে কোকিল
সেই সাথে ঝিঝি পোকার অবিরাম মিছিল
দখিনা হাওয়ায় গোলাপ পাপড়ির সুমিশিত ছন্দ
কড়া নেড়ে যায় বন্য পোকা বা টিকটিকি
সেদিন ঘরে প্রদিপ জ্বালিওনা
আমি আসবো তোমার কাছে চুপিচুপি
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি সেদিন তোমার চালায় পড়লেও তুমি নিও আমার অস্তিত্বকে আপন করে
দেখবে আমি তোমারি অপেক্ষায় আছি।
যদি, কাক ডাকা কোন দুপুরে- প্রচন্ড রোদ
ঝলমলে আকাশের ব্যস্তময় কোন পরিবেশ
একমনে পড়ছো ভাললাগা কোন উপন্যাস,
এই সময় পাড়ার পিয়ন তোমার বাড়ির সামনে
একরংগা পোষাকে তৈল চিটচিটে চেহারাটায়, বিন্দু বিন্দু ঘাম,
ডান হাতটা জামার সাথে মুছে
তোমাকে ধরিয়ে দেয় হলুদ খাম।
তুমি তা খুলিও! দেখবে প্রজাপতি আঁকা একটি চিঠি।
যার প্রতিটি চয়নে, প্রতিটি শব্দে, আমার ভালোলাগার কথা মিশে আছে।
আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসি
-হে সপ্তর্ষী।