মেঘনা তোমায় পড়ে মনে
কতো স্মৃতি তোমার সনে,
জীবনের এই সন্ধিক্ষণে
হয়না দেখা বহু দিনে।
একটুখানি সময় পেলে
রাত্রি-দুপুর, ভোর-বিহানে-
তোমার সাথে হতো কথা
নিষ্পলক চোখের কোণে।
তোমার কূলে ছায়ায় বসে
ঘাসের তরে মাটির পরে,
কতো পাখি উড়ে যেতো
ছোট্ট ঐ সবুজ চরে!!
কতোরূপে সাঁজতে তুমি
জোয়ার-ভাটার টানে-টানে,
মুগ্ধ হয়ে দেখতাম শুধু
তোমার ঐ মুখপ্রাণে!!
শান্ত হয়ে থাকতে যখন
লক্ষী মেয়ের আবরণে,
রেগে গেলে করতে শাসন
মাতিয়ে দিতে জাগরণে।
মনটা যখন ভীষণ খারাপ
অচেনা লাগতো পৃথিবীটারে,
তুমি তখন কহিতে কথা
গাইতে গান জলের ছলে।
আমার সব ব্যাথাগুলো
নিয়ে যেতে নিবির করে,
উজাড় করে বিলিয়ে দিতে
ঠেকিয়ে মাথা পায়ের তরে!!
কতো প্রাণ আপন মাঝে
রাখো পুষে খুব যতনে,
আমি আজো ভাবছি তাই
তুমি আমার বিষ্ময়ে!!
জিজ্ঞাসিলে সাগরের কথা
কি বলতো মোহনাতে,
লজ্জায় রেঙ্গে দেখিয়ে দিতে
কচুরি ফুল খোপায় কানে।
বৈশাখ কিংবা বাদলার দিনে
ছোট ঢেউ ফাপিয়ে গেলে-
ভয় পেতাম যখন আমি
অভয় দিতে মুচকি হেসে।
অনেক অভিমান হতো তখন
যখন তুমি নিতে কেড়ে,
হা-হা-কারে কাঁদতো মানুষ
তবু কূল ভেংগে আসতে তেড়ে।
অনেক কিছু দিয়েছ তুমি
নিয়েছ’ও আচলা ভরে-
থাক্ আজ আর অভিমান নয়
ভালো নেই তোমায় ছেড়ে!!