তনুদ্বয় দেখি হায়
লিকলিকে,
তবে গতিময়
এযেন স্লোগানের হ্যান্ডেল ।
অঙ্গুলি নয়
ছড়ানো,
শক্ত মুষ্টিময়
এ যেন স্লোগানের ক্যান্ডেল।
পেশি হায়
ফোলানো,
করে ধরফর
এ যেন শ্লোগানের শক্তিঘর।
চোখ দ্বয়
তীব্র জ্বালাময়,
ভেবে অস্থির
এ যেন স্লোগানের বাতিঘর।
কন্ঠহায়
ঝাঁঝালো সাইড ড্রাম
এ যেন স্লোগানের লাউডস্পিকার।
বুক টান
মনে হয়,
নেই ভয় সিসা নির্মিত ঢাল
এ যেন স্লোগানের আর্তচিৎকার।
চিরঞ্জীবী
মরণজয়ী,
শুনি কার কন্ঠ বাজখাই
দেখে মনে হয় চিনি উহারে
বরকত রফিক জব্বার সফিক ভাই।
ওই শুনি
ভাষা ধ্বনি,
মা মা বলে ডাকছে
বাহ কি যে ভালো লাগছে।
চেয়ে দেখি ভিক্ষুক
জানি সে তো মূর্খ,
কি যেন কি চাইছে
সুরময় বুলি গাইছে।
ওই দেখে কাঁধে ব্যাগ
ফিটফাট,
বাচ্চাদের গায়ে ইউনিফর্ম
স্কুলে যাচ্ছে হরদম পরছে
নামতা ছন্দ কবিতা।
অথচ সেই ইউনিফর্ম
জীবন অনিমেষ,
যুদ্ধ বেশ
নামল রাজপথে
পাজরা বুক হয়েছে ঝাঁজরা সাথে সাথে।
তাদের রক্ত কথা বলে
তারা এদেশের মাটির বালক,
মাঠের যুবক
বাংলা, বাংলা ভাষাতেই কথা বলে।
রক্ত পুঁজ
মুখের লালার সাথে মাটি,
গড়েছে প্রতিটি হরফ খাটি
পুড়েছে বিদ্রোহের অনলে
হাঁক ছেড়ে বলছে তোরা আয় দলে দলে।
বলছে তোরা আমাকে ধর ভাষার শিকলে
নিয়ে যা বাংলা খচিত কবরে,
বিদায় বেলায় বাংলা হরফ গুলি
দেখা শেখা আমার ছোট্ট মনি কে
দেখিস সর্বদা যেন সে বাংলায় পড়ে।
কেউ বলছে
ওরে তোরা কই,
আমি যে আর পারছিনা
ব্যঞ্জনবর্ণ স্বরবর্ণ এটা কোন সন
হায়রে প্রহসন।
তাদের মাস থেকে কেউ
চিৎকার করছে,
মা গো মাগো
প্রলাপ বকছে
আমার রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষা লেখ তোগো।
ওই রকম হাজারো শব্দতরঙ্গ
ভাসছে ইথারে,
শুনে যেন মনে হয়
আমি চিনি উহারে।
তাই ভাই
নাই ভয়,
সকলে এক কাতারে
দেই স্লোগান
মাথা তুলে
বুক খুলে মুখ খুলে বাধা ভুলে
বলি সমস্বরে
একুশ মহান।