আমি অসহায় দূর্বল অপরাগ অক্ষম ;
আমি ক্লান্ত-শ্রান্ত পরিশ্রান্ত নরাধম ।


আমি পারি না নির্ভীক কন্ঠে,
প্যারেডে রাজপথে শহরের উপকন্ঠে,
গলা ছেড়ে বলতে মুক্ত কন্ঠে ;
পারি না দাঁড়াতে দ্বিধাহীন চিত্তে ।
অত্যাচারীর পাশে দূর্বল জনে,
নিপীড়িত নিগৃহীত মানবের কল্যানে,
অসহায় আমি উৎপীড়িতের ক্রন্দন শ্রবনে,
অসমর্থ আমার সামর্থ্যবান তারুন্যে
মানুষের কল্যান সাধনে ।।


আমি পালিয়ে বেড়াই জীবন হতে,
হারিয়ে যায় আপন সুখ-শান্তি্তে,
ডুবে থাকি আমি আমার আমি'তে,
আপনাকে নিয়ে ব্যস্ত প্রতি ক্ষনেতে ;
চায় না জড়াতে দুখীর সাথে মোর জীবন ।
পাশ কাটিয়ে এড়িয়ে চলি প্রতিটি ক্ষন ।
বঞ্চিতের আর্ত-চিৎকার করি না শ্রবন ;
অন্যায় দেখেও ভাব করি
কিছুই দেখে নি দু'নয়ন ।।


কেন আজ রুদ্ধ আমার বজ্রকন্ঠ,
অশান্ত হৃদয় কেন আজ নিস্পৃহ শান্ত,
কোথায় সেই সুপ্ত-গুপ্ত রনকন্ঠ,
কেন আজ অক্লান্ত আমি শ্রান্ত-ক্লান্ত ;
কে আমার কন্ঠকে করেছে রুদ্ধ,
কার জন্য আজ আমি অস্বাভাবিক গুপ্ত,
কোথায় সেই ঝংকার তোলা হুংকার
-নিখাদ বিশুদ্ধ ।
কেন কারামুক্ত আজ আমি কারারুদ্ধ ।।


অন্যায় অবলোকনে নিশ্চুপ আমি
কথা বলি মেপে মেপে -যেন শান্তিকামী ;
কোথায় সেই গর্জন সেই বজ্রবানী,
কার ভয়ে নির্ভীক আমি, ভীত-সন্ত্রস্ত সুবিধাকামী ।
আমার কন্ঠ থেকে বিপ্লব কে কেড়ে নিল,
কে আমায় এমন ভেজা বেড়াল করল ;
কার জন্য আজ এই অবস্থা হল !
কোন সেই জন যে আমার
-বিপ্লবী আত্না হত্যা করল ।।


কে সে ? মৃত্যু ভয় ?বেঁচে থাকার
-দূর্নিবার আকর্ষন ?
নাকি পিছুটান ? আপন আত্নীয়-স্বজন ।
কে সে ? কে সে ? কার জন্য
-বজ্রকন্ঠ আজ রুদ্ধকন্ঠ ।
সে কি শাসকের শেকল , যা করল আজ শান্ত ।।


_______######________