"মাঝি, একটু মুখ তুইল্যা তাকাও,
আমারে ইট্টু দেহো-
আমারে তোমার কেমন লাগে গো?
দেহো, তোমার লাইগ্যা টাঙ্গাইলের শাড়ি পরছি,
ইট্টু দেখলে কি অয়? ক্ষয় অইয়্যা যাইবো?"


কতো মিনতি বালিকার যুবকের তরে-
"কোনো কথাই কও না, কান দেও না;
তুমি এমন কেন্? তোমার কোনো দিল নাই?
আমি কি এতই খারাপ? এতই পচা?
একবার তাকাইলে লোকসান অইয়্যা যাইবো?"


কি নাই যুবতির কাছে?
ভরা গাংয়ের মতো উথলে পড়া যৌবন, উজান ঢেউ;
টানা টানা চোখ, মায়াবিনী নজর-
নাসিকা তীক্ষ্ণ, উন্নত দেহসৌষ্ঠবব;
আকীর্ণ লম্বা চুল, দেখে না যুবক কিছু!


"চোখ থাকতেও আন্ধা তুমি?
তোমার দেমাগ বেশি অহংকার বেশি,
আমারে কান্দাও? আল্লায় তোমারে কান্দাইবো-
তোমার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করি,
নদীতে ডুইব্যা মরো তুমি!"


পলক মুহূর্তে নদীতে ঝাঁপ দেয় মাঝি,
প্রচণ্ড ঢেউয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে মাঝি;
যুবতি কিংকর্তব্যবিমূঢ়,
জীবনের মায়া তুচ্ছ প্রেমের কবলে,
সহসা ঝাঁপিয়ে পড়ে সেও।


অনেক কষ্টে তরুনকে টেনে তুলে কন্যা
দু'জনে জড়াজড়ি, অনন্তর তীরে পৌঁছোনো;
আলুথালু পোষাকে জলমগ্ন যুগল,
দৃষ্টি বিনিময় হয় অপলক নেত্রে,
কথা নাই মুখে, সুনসান নিরবতা।


কেবলি ঠাণ্ডা হাওয়া বহমান-
দিগন্তে লাল আভা, সূর্য ডুবুডুবু পশ্চিম আাকাশে-
আবেশ বুলিয়ে যায় এক জোড়া ভেজা মনে,
আলতো করে ছড়িয়ে পড়ছে ভূমণ্ডল নভোমণ্ডলে,
অস্ফুট বাক্য, "তুমি আমাকে এতো ভালবাসো?"


মালি (আফ্রিকা)
ইউএন শান্তি মিশন
২২/০২/২০১৭ খ্রিঃ।